আসানসোলের সীতারামপুর ও এথোড়ার মাঝামাঝি ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এক যুবকের গলাকাটা দেহ (Deadbody) উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃত যুবকের (Deadbody) নাম দেবজ্যোতি সিং, বয়স আনুমানিক ৩০, যিনি নিঘা, জামুড়িয়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেবজ্যোতি একজন জমি ব্যবসায়ীর অফিসে কাজ করতেন। বুধবার রাতে কাজ সেরে বাইকে করে বাড়ি ফেরার পথে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ (Deadbody) পাওয়া যায়। পাশে ছিল তাঁর মোটরবাইকটিও।
প্রথমে পুলিশ অনুমান করেছিল, এটি কোনো দুর্ঘটনা। তবে পরে যুবকের (Deadbody) গলায় গভীর ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়, যা দেখে পরিকল্পিত খুনের সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছে পুলিশ।
দেবজ্যোতির দেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা কুলটি থানায় খবর দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
এই ঘটনার পর মৃতের পরিবার দাবি করে, এটি কোনো সড়ক দুর্ঘটনা নয়, বরং প্রেমঘটিত দ্বন্দ্ব থেকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে। দেবজ্যোতির বাবা দিলীপ সিং অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে পুরুলিয়ার পারবেলিয়ার এক যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। সেই যুবতীর এক আত্মীয় এই সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছিল।
তিনি জানান, দেবজ্যোতি প্রতিদিনই সেই যুবতীকে তার বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসত। ঘটনার দিনও তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল ওই আত্মীয়ের সঙ্গে নিয়ামতপুর এলাকায়। এরপরই তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, ওই আত্মীয়ই পরিকল্পনা করে দেবজ্যোতিকে খুন করেছে বা করিয়েছে।
এই ঘটনার পর আসানসোলের বাসিন্দারা জাতীয় সড়ক সংলগ্ন এলাকায় রাতের বেলা পুলিশি টহল এবং নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন। তাঁরা বলছেন, এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করা স্বাভাবিক।
বর্তমানে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং প্রেমঘটিত বিষয়টি সহ সব দিক খতিয়ে দেখছে। সম্ভাব্য সন্দেহভাজনের গতিবিধিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।