২০২৫ সালের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গসহ একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তবে তার আগে রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ বাড়াতে চলেছে কালীগঞ্জ উপনির্বাচন (By Election)। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই এই কেন্দ্র সহ গুজরাত, কেরল ও পাঞ্জাব মিলিয়ে মোট পাঁচটি আসনে উপনির্বাচনের (By Election) দিন ঘোষণা করেছে।
১৯ জুন ভোট, ২২ জুন ফলাফল ঘোষণা। বিশেষ নজর এখন কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (By Election) দিকেই। কারণ একটি মাত্র কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (By Election) জন্য নির্বাচন কমিশন ১৮ থেকে ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর কমিশনের (By Election) এমন সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এই কেন্দ্রে এত সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন কেন? এই প্রশ্নে জবাব না দিলেও, বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগে থেকেই আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
নাসিরুদ্দিন আহমেদের প্রয়াণে শূন্য হওয়া এই আসনে উপনির্বাচনের প্রয়োজন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের নাসিরুদ্দিন আহমেদ প্রায় ১ লক্ষ ১১ হাজার ভোটে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ ঘোষকে পরাজিত করেন। তাঁর মৃত্যুর পর এই কেন্দ্র নিয়ে তৎপর হয়েছে সব রাজনৈতিক দলই।
কে হবেন তৃণমূল প্রার্থী? আদৌ কি পরিবারের কেউ টিকিট পাবেন? বিজেপি বা বামফ্রন্ট কী চমক দেখাবে? এই সব প্রশ্নে জল্পনা এখন তুঙ্গে।
রাজ্যের ভোট মানেই কারচুপি, হিংসা ও বুথ দখলের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিরোধীরা প্রায়শই এই অভিযোগ করে আসছেন। শাসক তৃণমূল যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বারবার। তবে কমিশনের এত সংখ্যক বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত সেই অভিযোগেরই আংশিক স্বীকৃতি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যে এসে পৌঁছবে বাহিনী। ভোট পরিচালনায় ন্যূনতম ছাড় না দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যজুড়ে নজর এখন কালীগঞ্জে। এই ভোট কেবল একটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন নয়, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক বাতাবরণ কোন দিকে বইবে—তার ইঙ্গিতও দিতে পারে এই ফলাফল।
এখন দেখার, উপনির্বাচনের দিন কালীগঞ্জে নির্বাচনী প্রক্রিয়া কতটা শান্তিপূর্ণ হয়, এবং রাজনৈতিক দলগুলোর শক্তি পরীক্ষায় কে এগিয়ে থাকে।