যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি চীনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে পারমাণবিক সরঞ্জাম (Nuclear Equipment) সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর লাইসেন্স স্থগিত করেছে বলে জানিয়েছে ঘনিষ্ঠ সূত্রের ওপর ভিত্তি করে চারজন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। এই সিদ্ধান্ত এসেছে এমন এক সময়, যখন বিশ্বের দুই সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তি এক কঠিন ও ক্ষতিকর বাণিজ্য যুদ্ধে লিপ্ত (Nuclear Equipment)।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই লাইসেন্স (Nuclear Equipment) স্থগিত করেছে বলে জানানো হয়। এই লাইসেন্সগুলো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ এবং উপাদান রপ্তানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট (Nuclear Equipment)। গত দুই সপ্তাহে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ শুধু শুল্ক আরোপেই সীমাবদ্ধ না থেকে একে অপরের সাপ্লাই চেইন রোধে রূপ নিয়েছে, যার ফলে পারমাণবিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিক্রয়েও বড় আঘাত এসেছে।
গত ১২ মে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন তিন মাসের জন্য পারস্পরিক উচ্চ হারে শুল্ক প্রত্যাহারে সম্মত হলেও, এই সমঝোতা অল্প সময়েই ভেঙে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করে, চীন বিরল খনিজসম্পদ রপ্তানিতে (Nuclear Equipment) চুক্তিভঙ্গ করেছে, অন্যদিকে চীন অভিযোগ করে, যুক্তরাষ্ট্র “রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের অপব্যবহার” করছে, বিশেষ করে হুয়াওয়ের Ascend AI চিপস ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে ফোনালাপ হয়, তবে এই কথোপকথন পারমাণবিক সরঞ্জামের লাইসেন্স স্থগিতাদেশে প্রভাব ফেলবে কিনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। তবে ২৮ মে এক বিবৃতিতে জানায়, তারা চীনের উদ্দেশ্যে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের রপ্তানি পর্যালোচনা করছে। “কিছু ক্ষেত্রে, মন্ত্রণালয় বিদ্যমান রপ্তানি লাইসেন্স স্থগিত করেছে বা পর্যালোচনা চলাকালীন অতিরিক্ত লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা আরোপ করেছে,” বলা হয় বিবৃতিতে।

চীনে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসও এই বিষয়ে মন্তব্য করেনি।
প্রভাবিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়েস্টিংহাউস এবং ইমারসন। ওয়েস্টিংহাউস প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী ৪০০টিরও বেশি পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরে ব্যবহৃত হয় এবং ইমারসন পারমাণবিক শিল্পে বিভিন্ন পরিমাপক সরঞ্জাম সরবরাহ করে। তারা এই বিষয়ে মন্তব্য জানায়নি।
দুইটি সূত্র জানায়, এই স্থগিতাদেশে কয়েকশো মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা প্রভাবিত হচ্ছে। এদিকে চীনও তাদের পক্ষ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ধাতব রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, যা বৈশ্বিক উৎপাদনকারীদের সাপ্লাই চেইনে বড় প্রভাব ফেলছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত তিন গাড়ি নির্মাতা কোম্পানির উপর।
তবে এই নিষেধাজ্ঞাগুলো সরাসরি বাণিজ্য যুদ্ধের অংশ কিনা, বা কত দ্রুত তা প্রত্যাহার করা হতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি লাইসেন্স চার বছরের জন্য কার্যকর থাকে এবং এতে অনুমোদিত পণ্যের পরিমাণ ও মূল্য উল্লেখ থাকে।
সূত্র জানায়, গত দুই সপ্তাহে চীনে রপ্তানি সংক্রান্ত একাধিক নতুন সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। এমনকি এক হাইড্রলিক ফ্লুইড সরবরাহকারীর ক্ষেত্রেও নতুন লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।