জঙ্গি বিরোধী বার্তা নিয়ে ভারত যখন আন্তর্জাতিক মহলে সক্রিয়, ঠিক সেই সময় পাকিস্তান শান্তি আলোচনার জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহায়তা চাইল (India Pakistan Tension)। ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ট্রাম্পের ভূমিকা ছিল ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওয়াশিংটনের উচিত আবারও দুই পারমাণবিক প্রতিবেশীর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে সাহায্য করা চাইল (India Pakistan Tension)।
পাকিস্তানের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও বলেন, “ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্তত ১০ বার বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধে তাঁর ভূমিকা ছিল — এবং সেটি সত্যি। তাঁর কূটনৈতিক চেষ্টাতেই যুদ্ধ চাইল (India Pakistan Tension) পরিস্থিতি প্রশমিত হয়েছিল।”
কিন্তু ভারত এই দাবিকে সরাসরি অস্বীকার করেছে। নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ভারত কোনোভাবেই মেনে নেয় না।
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর, যিনি বর্তমানে এক সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে আমেরিকায় রয়েছেন, বলেছেন, “আমরা কারও সঙ্গে তখনই কথা বলব, যখন আমাদের কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে রাখা হবে না চাইল (India Pakistan Tension)। যদি আপনার প্রতিবেশী তার রটওয়াইলার* কুকুর ছেড়ে দেয় আপনার সন্তানের ওপর, তখন সে যদি বলে চলুন কথা বলি — আপনি কি কথা বলবেন? আগে ওদের বশ মানান।”
থারুর আরও বলেন, “পাকিস্তান বলছে, তারাও নাকি সন্ত্রাসবাদের শিকার। আমরা বলি — দোষটা কার? হিলারি ক্লিনটন একদা বলেছিলেন, আপনি নিজের উঠোনে বিষধর সাপ লালন-পালন করতে পারেন না আর আশা করতে পারেন না তারা শুধুই আপনার প্রতিবেশীকে ছোবল দেবে। এখন তারাই নিজেদের তৈরি তালিবানের শাখা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের হাতে আক্রান্ত হচ্ছে।”
তিনি পাকিস্তানকে নিজস্ব ভেতরের সমস্যা নিয়ে আত্মসমীক্ষার আহ্বান জানান, এবং মিথ্যা নির্দোষতার নাটক না করার অনুরোধ করেন।