২৫ লক্ষ টাকা সহ এক ঠিকাদারকে অপহরণ করে খুন করার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহে (Murder)। শুধু খুনই নয়, দেহ গায়েব করতে দেওয়ালে পুঁতে তার ওপর প্লাস্টার করে দেওয়ার মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এসেছে। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে এক স্কুল শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অপহরণের পরে জেরায় শিক্ষক রহমান নাদাপের স্ত্রী মৌমিতা হাসান স্বীকার করে নেন, খুনের পর দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন এলাকায় নিজের বাবার বাড়িতে দেহ পুঁতে দেওয়া হয় (Murder)। পুলিশ সেখান থেকেই দেহ উদ্ধার করেছে। অভিযুক্ত মৌমিতাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শিক্ষক রহমান নাদাপকে জেরা করা হচ্ছে (Murder)।
পুখুরিয়া থানার অন্তর্গত বাসিন্দা সাদ্দাম নাদাপ পেশায় শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদার। পাশাপাশি তাঁর আরও কিছু ব্যবসাও ছিল। সেই ব্যবসার হিসাবনিকাশ, ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন স্কুল শিক্ষক রহমান নাদাপ ও তাঁর স্ত্রী মৌমিতা হাসান। তাঁরা প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা করে মাসোহারা নিতেন, এমনকী বড় অঙ্কের টাকাও নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সাদ্দামের পরিবার জানায়, ওই দম্পতির কাছে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা পাওনা ছিল।
গত ২৩ মে সাদ্দাম ২৫ লক্ষ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। এরপর তাঁর স্ত্রী নাসরিন খাতুন ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি পুলিশ সুপার, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সীর কাছেও স্বামীর খোঁজে দরবার করেন তিনি।
তদন্তে নেমে পুলিশ পরপর জেরা শুরু করে অভিযুক্ত দম্পতিকে। এরপরেই ধরা পড়ে মর্মান্তিক সত্য। এক স্কুল শিক্ষকের এমন জড়িত থাকার ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরে।