রাজস্থানের কোটা শহরের আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের এক সম্পর্ক ম্যানেজার প্রায় ৪.৫৮ কোটি টাকা গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে জালিয়াতির (Bank Corruption) মাধ্যমে তুলে শেয়ার বাজারে লগ্নি করে বসেন। অভিযুক্ত ওই কর্মীর নাম সাক্ষী গুপ্ত। পুলিশ জানিয়েছে, সাক্ষী ৪৩ জন গ্রাহকের ১১০টি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে একাধিক শেয়ার কেনেন, তবে লাভ তো দূরের কথা, সমস্ত অর্থ তিনি হারিয়ে ফেলেন।
তদন্তে উঠে এসেছে, এই টাকা তোলার সময় সাক্ষী অত্যন্ত চতুরভাবে (Bank Corruption) গ্রাহকদের এবং ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দেন। তিনি গ্রাহকদের মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করে দেন, যাতে কোনও লেনদেনের নোটিফিকেশন অ্যাকাউন্টধারীর কাছে না পৌঁছয়। এমনকি তিনি অনেক অ্যাকাউন্টের এটিএম পিন-ও বদলে দেন (Bank Corruption)।
সাক্ষী মূলত এমন সব প্রবীণ গ্রাহকদের টার্গেট করেছিলেন, যাঁরা ডিজিটাল বা মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ে ততটা দক্ষ নন। এক প্রবীণ মহিলার অ্যাকাউন্টকে ‘পুল অ্যাকাউন্ট’ হিসেবে ব্যবহার করে তাঁর মাধ্যমে ৩ কোটি টাকার বেশি ঘোরান তিনি (Bank Corruption)।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, সাক্ষী ৩১ জন গ্রাহকের ফিক্সড ডিপোজিট অ্যাকাউন্টও অনুমতি ছাড়াই বন্ধ করে দেন এবং সেখান থেকে ১.৩৪ কোটি টাকা তুলে নেন। একই সঙ্গে, নিজের নামে ৩.৪০ লক্ষ টাকার একটি পার্সোনাল লোনও নিয়েছিলেন তিনি।

এই সমস্ত অর্থ তিনি বিনিয়োগ করেন শেয়ার বাজারে, যেখানে তিনি সবকিছু হারান।
এই বিপুল প্রতারণার ঘটনা সামনে আসে যখন এক গ্রাহক ১.৫ লক্ষ টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজিট সম্পর্কে জানতে চান এবং দেখতে পান টাকা অন্য একটি অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে, তাঁর অনুমতি ছাড়াই।
এরপরই শাখা ম্যানেজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ৩১ মে সাক্ষী গুপ্তকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে একদিনের পুলিশি হেফাজতের পর জেলে পাঠানো হয়।
জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক দিলীপ সাইনি জানিয়েছেন, পুরো ঘটনার গভীর তদন্ত চলছে। কেউ এই জালিয়াতিতে সাহায্য করেছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক জানায়, তারা নিজেরাই পুলিশকে এই জালিয়াতির তথ্য দিয়েছে এবং অভিযুক্ত কর্মীকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। ব্যাঙ্ক আরও জানিয়েছে, প্রভাবিত গ্রাহকদের “সত্যিকারের দাবিগুলি মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে।”