১৮ বছরের অপেক্ষার শেষে অবশেষে আইপিএল ট্রফি ঘরে তুলেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (Bengaluru Stampede)। বিরাট কোহলির আবেগঘন কান্না, শহরের রাজপথে মানুষের ঢল—সব মিলিয়ে এক ঐতিহাসিক রাত হয়ে উঠেছিল চিন্নাস্বামী। তবে সেই বিজয় উৎসবই মুহূর্তে রূপ নেয় বিভীষিকায় (Bengaluru Stampede)।
চিন্নাস্বামীর বাইরে অনিয়ন্ত্রিত জনজোয়ারে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান অন্তত ১১ জন (Bengaluru)। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০। উৎসবের উন্মাদনা, নিরাপত্তার অভাব আর অব্যবস্থাপনার খেসারত দিতে হল সাধারণ মানুষকে। উৎসবকে ঘিরে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক (Bengaluru Stampede) ।
এই ঘটনায় ((Bengaluru Stampede) বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার-সহ তিনজন পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে কর্ণাটক সরকার। তবে শুধু প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, এবার সরাসরি ফ্র্যাঞ্চাইজির দিকেও আঙুল উঠেছে।
গ্রেফতার করা হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর মার্কেটিং প্রধান নিখিল সোসালেকে। বেঙ্গালুরু বিমানবন্দর থেকে মুম্বই যাওয়ার সময় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুধু তাই নয়, একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার দুই শীর্ষ কর্তাকেও আটক করা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগ, অপরাধমূলক অবহেলা ও জনসুরক্ষায় মারাত্মক গাফিলতির ফলেই ঘটেছে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
গতকালই কর্ণাটক পুলিশ আরসিবির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এমনকি আইপিএল কর্তৃপক্ষের দিকেও নজর রাখছে তদন্তকারীরা।
যদিও ঘটনার ভয়াবহতা সামনে আসতেই আরসিবির পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারের জন্য অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে। কর্ণাটক সরকার ও কর্ণাটক ক্রিকেট সংস্থাও সহানুভূতির হাত বাড়িয়েছে। তবে তাতে কি আর ফিরিয়ে আনা যাবে হারানো প্রাণগুলোকে?
সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিরাট কোহলিও। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন—স্টেডিয়ামের বাইরে এমন জনসমাগম ও গাফিলতিতে কোহলিদের দলও কি পুরোপুরি দায়মুক্ত? বিজয়ের আনন্দে যখন শহর নাচছে, তখন কেউ কেউ কাঁদছে চিরতরে হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনের জন্য।
এটাই কি হওয়া উচিত ছিল ১৮ বছরের অপেক্ষার পর পাওয়া আইপিএল জয়ের শেষ পরিণতি? প্রশ্ন কিন্তু এখন অনেক। তদন্ত চলছে, কিন্তু উত্তর মিলছে না কিছুতেই।