Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • হানিমুনে গিয়ে মৃত্যু! কোথায় সোনাম? মেঘালয় হত্যাকাণ্ডে রহস্য ঘনীভূত
দেশ

হানিমুনে গিয়ে মৃত্যু! কোথায় সোনাম? মেঘালয় হত্যাকাণ্ডে রহস্য ঘনীভূত

Email :10

মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে নিখোঁজ (Meghalaya Missing Case) হওয়া মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের পরিবহণ ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীকে খুন করা হয়েছে, এমনটাই দাবি তাঁর শোকার্ত পরিবারের। তাঁর বাড়ির সামনে (Meghalaya Missing Case) একটি ব্যানারে বড় করে লেখা রয়েছে, “রাজার আত্মা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করছে—আমি মরিনি, আমাকে খুন করা হয়েছে। তদন্ত হোক CBI দিয়ে!”

এই ব্যানারে রাজা ও তাঁর স্ত্রী সোনামের বিয়ের ছবিও রয়েছে। উল্লেখ্য, ২৩ মে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জি এলাকার সোহরায় নিখোঁজ হন নবদম্পতি (Meghalaya Missing Case) । ২ জুন গভীর খাদ থেকে উদ্ধার হয় রাজার মৃতদেহ। সোনাম এখনও নিখোঁজ। রাজা ও সোনাম ১১ মে বিয়ে করেন এবং ২০ মে মেঘালয়ে হানিমুনে যান। ২২ মে তাঁরা মাওলাখিয়াত গ্রামে পৌঁছান এবং নংরিয়াত গ্রামের বিখ্যাত ‘লিভিং রুট ব্রিজ’ দেখতে গিয়ে সেখানে রাত কাটান। পরদিন সকালে তাঁরা ওই এলাকা ত্যাগ করেন, এরপর থেকেই তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি (Meghalaya Missing Case) ।

২৪ মে তাঁদের ভাড়া করা স্কুটারটি একটি ক্যাফের পাশে পাওয়া যায় (Meghalaya Missing Case) । পুলিশ তখন থেকে তল্লাশি শুরু করে। অবশেষে রাজা রঘুবংশীর দেহ পাওয়া যায় একটি ঝর্ণার নিচে গভীর খাদে। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা দা (ম্যাচেটি) উদ্ধার করে পুলিশ, যেটি সম্ভবত হত্যায় ব্যবহার হয়েছে।

রাজা রঘুবংশীর দেহ এতটাই পচে গিয়েছিল যে মুখ দেখে চেনা যাচ্ছিল না (Meghalaya Missing Case) । তাঁর ভাই সচিন বলেন, “রাজা তাঁর হাতে নিজের নাম ‘Raja’ ট্যাটু করিয়েছিল। এছাড়াও আমার ওয়াটারপ্রুফ স্মার্টওয়াচ পরে গিয়েছিল, যা তার হাতে পাওয়া যায়। এই দুইয়ের মাধ্যমে দেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়।” সচিন রঘুবংশী অভিযোগ করেন যে, স্থানীয় হোটেল, রেস্টুরেন্ট, গাইড এবং টু-হুইলার ভাড়াদাতারাই রাজা ও সোনামকে অপহরণ করে খুন করে থাকতে পারে। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল লুঠপাট। তিনি আরও জানান যে, “রাজার মানিব্যাগ, গলার সোনার চেন এবং আঙুলের আংটি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই লুঠের উদ্দেশ্যে খুন করা হয়েছে বলে আমরা সন্দেহ করছি।”

তিনি সরকারের কাছে একটাই আবেদন করেছেন, “আমার ভাই তো আর নেই, কিন্তু আমি চাই না আমার বৌদিকেও হারাতে। তাঁকে যেভাবেই হোক খুঁজে বের করুক সরকার। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া হোক। এবং এই ঘটনার তদন্ত হোক CBI দিয়ে।”

মেঘালয় পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় হত্যার মামলা রুজু করে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) গঠন করেছে। কিন্তু পরিবারের দাবি, এই তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে, তাই তারা CBI তদন্ত চায়।

৪ জুন রাজার মরদেহ পৌঁছায় ইন্দোরে। শেষকৃত্যের সময় স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে চারদিক,“CBI তদন্ত চাই!” রাজা রঘুবংশীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারীরা সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন, যদি তাঁদের দাবি না মানা হয়, তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts