মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার (Harvard Student Visa Ban) সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার ফলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ছাত্রদের নতুন ভিসা ইস্যু সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ট্রাম্পের মতে হার্ভার্ডে বিদেশি ছাত্রদের উপস্থিতি “জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি” তৈরি করছে।
এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে, অন্য কোন মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ে নয়। আদেশ অনুযায়ী, হার্ভার্ডের জন্য F, M ও J ক্যাটাগরির নতুন শিক্ষার্থী ভিসা আর ইস্যু হবে না এবং যাঁরা ইতিমধ্যেই ভর্তি হয়েছেন, তাঁদের ভিসা পর্যালোচনা করে বাতিল করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞাকে যুক্ত করেছেন দেশীয় শিক্ষার্থীদের অধিকারে। তাঁর দাবি, “আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রীরা হার্ভার্ডে পড়তে চাইলেও সুযোগ পায় না, কারণ সেখানকার আসন অনেকটাই বিদেশি ছাত্রদের দখলে।” তিনি আরও বলেন, “আমি চাই বিদেশি ছাত্ররা আমাদের দেশকে ভালোবাসার মানসিকতা নিয়ে এখানে আসুক।”
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানিয়েছে, হার্ভার্ড তাদের বিদেশি ছাত্রদের নিয়ে যথাযথ তথ্য সরবরাহ করেনি। মাত্র ৩ জন ছাত্রের তথ্য দেওয়া হলেও, অভিযোগ রয়েছে বহু ছাত্র অবৈধ বা বিপজ্জনক কার্যকলাপে যুক্ত।
এই ঘটনার কয়েক দিন আগেই হোয়াইট হাউস হার্ভার্ডের জন্য বরাদ্দ অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন ডলারের সরকারি চুক্তিও বাতিল করেছে।
বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত হার্ভার্ডে প্রায় এক চতুর্থাংশ ছাত্রই আন্তর্জাতিক। ট্রাম্পের এই (Harvard Student Visa Ban) সিদ্ধান্তে অনেক শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাবিদরা উদ্বিগ্ন।
এই আদেশ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করল এবং উচ্চশিক্ষার আন্তর্জাতিক পরিবেশে বড় ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। (Harvard Student Visa Ban) এখন একটি আন্তর্জাতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।