২০১০ সালে মহারাষ্ট্রের বাগলা হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজে সহপাঠী বন্ধুকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ছাত্র বৈভবকে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) নির্দোষ ঘোষণা করেছে। আদালত জানিয়েছে, এই মামলায় পরিষ্কার কোনো উদ্দেশ্য বা প্রমাণ না থাকায় হত্যার অভিযোগ টেকেনি।
বিচারপতি (Supreme Court) বি ভি নাগরথ্না এবং সতীশচন্দ্র শর্মা বলেন, “এই মামলাটি দেখায় যে এটি একটি দুর্ঘটনাজনিত গুলির ঘটনা, তাত্ত্বিক ও বাস্তব—দু’দিক থেকেই। হত্যার সম্ভাবনা দুর্বল, এবং এমন কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই যা থেকে নিশ্চিতভাবে বলা যায়, বৈভবই ট্রিগার টেনেছিল।” সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) জানায়, কেবল পারিপার্শ্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে সাজা দেওয়া সম্ভব নয়, যদি ওই প্রমাণগুলির মধ্যে অসঙ্গতি থাকে এবং অভিযুক্তের নির্দোষতার সম্ভাবনাও থেকে যায়।
তবে আদালত (Supreme Court) স্বীকার করে নিয়েছে যে বৈভব মৃতদেহ গোপন করার চেষ্টা করেছিল, তাই “প্রমাণ নষ্ট করার” অভিযোগে তাকে ইতিমধ্যে যতদিন জেল খেটেছেন, সেটাকেই সাজা হিসেবে ধরা হয়েছে। ঘটনার সময় ২০১০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর, বৈভব ও তার বন্ধু মঙ্গেশ একসঙ্গে কলেজ থেকে বেরিয়েছিল মঙ্গেশের স্কুটারে। কিন্তু মঙ্গেশ আর বাড়ি ফেরেনি। তার বাবা নিখোঁজ ডায়েরি করেন এবং পরদিন মঙ্গেশের দেহ উদ্ধার হয়।

ট্রায়াল কোর্ট (Supreme Court) রায় দিয়েছিল, বৈভব তার বাবার সার্ভিস রিভলভার ব্যবহার করে বন্ধুকে হত্যা করেছে এবং বন্ধু বিষ্ণাল প্রমাণ লোপাটে সাহায্য করেছে। বম্বে হাইকোর্ট বৈভবের সাজা বহাল রাখলেও বিষ্ণালকে নির্দোষ বলে ছেড়ে দেয়।
তবে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, পারিপার্শ্বিক প্রমাণগুলির মধ্যে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে এবং যে প্রশ্নগুলো উঠেছে, সেগুলোর যথাযথ উত্তর পাওয়া যায়নি। এইসব অস্পষ্টতার সুযোগ অবশ্যই অভিযুক্তের পক্ষেই যাবে। তাই বৈভবকে হত্যা ও বেআইনি অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।