আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার শীর্ষ উপদেষ্টাদের হত্যার আহ্বান জানিয়েছে ইয়েমেনভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা ইন দ্য অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা (AQAP)- (Al Qaeda)এর নতুন প্রধান সাদ বিন আতেফ আল-আউলাকি। সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত এক ৩৪ মিনিটের প্রোপাগান্ডা ভিডিওতে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ভিডিওটির নাম রাখা হয়েছে “ইনসাইটিং দ্য বিলিভারস” বা “বিশ্বাসীদের উসকে দাও”। এতে আল-আউলাকি গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রতি আহ্বান জানান।
ভিডিওতে আল-আউলাকি (Al Qaeda) বলেন, “অবিশ্বাসী আমেরিকানদের হত্যা করতে কাউকে জিজ্ঞাসা করার দরকার নেই। সরাসরি এগিয়ে যাও।” তিনি নাম করে যাদের হত্যার আহ্বান জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ।

এছাড়াও প্রযুক্তি দুনিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তি এলন মাস্কের নামও ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়েছে (Al Qaeda)। আরও বলা হয়েছে, “হোয়াইট হাউসের রাজনীতিকদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বা ঘনিষ্ঠ যারা, তাদের এবং তাদের পরিবারকেও টার্গেট করো। এখন আর কোনো লাল রেখা নেই – কারণ গাজায় আমাদের মানুষের ওপর যা ঘটছে, তার পর কোনো সীমারেখা মানা যায় না।”
এই জঙ্গি নেতা যিনি (Al Qaeda) বর্তমানে মার্কিন সরকারের ঘোষিত ৬ মিলিয়ন ডলারের মাথার দামযুক্ত পলাতক, তিনি পূর্ববর্তী ট্রাম্প হত্যাচেষ্টার প্রশংসাও করেছেন এবং সাম্প্রতিক কিছু ইহুদি বিরোধী হামলাকে সমর্থন জানিয়েছেন। ভিডিওতে তিনি (Al Qaeda) বলেন, “ইহুদিদের জন্য এই পৃথিবীতে যেন আর কোথাও নিরাপদ আশ্রয় না থাকে – যেমন তারাও ফিলিস্তিনিদের কোনো আশ্রয় বা নিরাপত্তা দেয়নি।”
২০০৯ সালে সৌদি আরব ও ইয়েমেনের আল-কায়েদা শাখা একত্রিত হয়ে AQAP গ(Al Qaeda) ঠিত হয়। এটি আল-কায়েদার সবচেয়ে সক্রিয় ও বিপজ্জনক শাখাগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত। এই গোষ্ঠী পূর্বে ২০০৯ সালের ‘আন্ডারওয়্যার বোমার’ পরিকল্পনা ও ২০১৫ সালে প্যারিসের শার্লি হেবদো হামলার জন্য দায়ী ছিল। মূল আল-কায়েদা কেন্দ্র থেকে কিছুটা স্বাধীনভাবে কাজ করে AQAP এবং ইয়েমেনের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও স্থানীয় গোত্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে তারা তাদের প্রভাব বিস্তার করে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট AQAP-কে একটি ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষিত করে রেখেছে এবং এই গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই আমেরিকা ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে আসছে। এই ভিডিও প্রকাশের পর মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এখন এর বাস্তবতা এবং সম্ভাব্য প্রভাব বিশ্লেষণে ব্যস্ত।