মেঘালয়ের হানিমুন হত্যাকাণ্ডে (Meghalaya Murder) নতুন মোড় এসেছে। ইন্দোর ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানিয়েছে, রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত চারজন পুরুষ ইতিমধ্যেই অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইন্দোরের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসিপি) পুনমচন্দ যাদব জানান, “চারজনই রাজাকে (Meghalaya Murder) খুন করার কথা মেনে নিয়েছে এবং তারা জানিয়েছে, রাজা যখন মারা যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখছিলেন।”
এসিপি যাদব আরও জানান, “রাজাকে প্রথম আঘাত করে বিশাল ওরফে ভিকি ঠাকুর।”
এর আগে রাজার ভাই বিপিন রঘুবংশী সংবাদমাধ্যমে (Meghalaya Murder) জানান, “রাজাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারা হয়। এই আক্রমণে চারজন জড়িত ছিল, যার মধ্যে সোনম নিজেও ছিল। ২৫ মে সোনম প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে দেখা করে এবং পরে ইন্দোরে তার সঙ্গে থাকে, তারপর উত্তরপ্রদেশে চলে যায়।”

এই ঘটনা দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি করেছে। ১১ মে বিয়ের পর রাজা ও সোনম হানিমুনে মেঘালয় যান। ২৩ মে নংগ্রিয়াত গ্রামে একটি হোমস্টে থেকে চেক-আউট করার পর তাঁদের আর দেখা যায়নি।
২ জুন একটি গভীর খাদ থেকে রাজার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাঁর ডান হাতে “Raja” লেখা একটি উলকি দেখে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি দা, এক নারীর সাদা জামা, কিছু ওষুধের স্ট্রিপ, একটি স্মার্টওয়াচ এবং একটি মোবাইলের স্ক্রিনের ভাঙা অংশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই তদন্তে কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে ওঠেন সোনম । দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকার পর তিনি ৯ জুন উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর জেলার নন্দগঞ্জ থানায় আত্মসমর্পণ করেন।