শান্তি আলোচনার মাঝেই ইউক্রেনের (Russia) উপর সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালাল রাশিয়া। রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত মোট ৫০০টিরও বেশি ড্রোন ও ২০টি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে মস্কো (Russia)। ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় দেশটির মূলত মধ্য ও পশ্চিমাঞ্চলকে লক্ষ্য করা হয়।
তবে ইউক্রেনের দাবি, তারা ২৭৭টি ড্রোন ও ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র মাঝপথেই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। শুধুমাত্র ১০টি ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছে। হামলায় একজন আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এই ভয়াবহ হামলার মধ্যেই দুই দেশ (Russia) সোমবার ফের যুদ্ধবন্দি বিনিময় করেছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ১০০০ কিমি দীর্ঘ সীমান্তজুড়ে দুই পক্ষের মধ্যে ড্রোন যুদ্ধ চরমে পৌঁছেছে। কিছু অঞ্চলের পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত কঠিন’ বলেও জানান তিনি।
এই হামলায় ইউক্রেনের দক্ষিণের ওডেসা শহরের একটি প্রসূতি বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। (Russia) এছাড়াও মঙ্গলবার ভোরে কিয়েভ শহরের চারটি জেলায় চিকিৎসা সহায়তা পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ভিতালি ক্লিটসচকো। শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো বলেন, “একসঙ্গে একাধিক এলাকায় শত্রুর ড্রোন হামলা চলছে। সবাইকে আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।”
এর এক সপ্তাহ আগেই ইউক্রেন ‘অপারেশন স্পাইডারওয়েব’ চালিয়ে রাশিয়ার (Russia) এক-তৃতীয়াংশ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বাহককে আঘাত করেছিল। এরপরই রাশিয়া পাল্টা হামলায় ৪০০টিরও বেশি ড্রোন ও ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে।
এই হামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলেনস্কি বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিশ্বে সবাই এই হামলার নিন্দা করছে না। পুতিন এই পরিস্থিতিকেই কাজে লাগাচ্ছেন, সময় কিনে নিচ্ছেন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য।”
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই হামলাকে ‘পাল্টা প্রতিক্রিয়া’ বলে উল্লেখ করেছে। তাদের দাবি, কিয়েভ ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ চালিয়েছে, আর এই হামলা তারই জবাব।