মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া দম্পতির কাণ্ডে নতুন মোড় দেখা দিয়েছে (Meghalaya Murder)। জানা গেছে, নববিবাহিতা সোনম তাঁর স্বামী রাজাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল। মধ্যপ্রদেশ থেকে চারজন সুপারি কিলার ভাড়া করে সোনম স্বামীর খুন করানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল বলে পুলিশ দাবি করেছে। ২২ মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন সোনম ও রাজা (Meghalaya Murder)। ২ জুন মেঘালয়ের এক খাদ থেকে রাজার ক্ষত-বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। আগে শঙ্কা করা হচ্ছিল, সোনমকেও হয়তো খুন করা হয়েছে, কিন্তু এখন পুলিশ বলছে, সোনমই স্বামীকে খুনের জন্য পরিকল্পনা করেছিল।

রাজা রঘুবংশীর মা উমা রঘুবংশী বিশ্বাসই করতে পারছেন না যে তার পছন্দ করে আনা পুত্রবধূই এমন কাজ করেছে (Meghalaya Murder)। তিনি বলেন, “সোনম খুব ভালো ব্যবহার করত, বিয়ের পর নিয়মিত আমার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল।” উমা রঘুবংশী আরও বলেন, “সোনম হানিমুনের যাবতীয় বুকিং করেছিল, কিন্তু রিটার্ন টিকিট কাটেনি। এটা বুঝিয়ে দেয় বিয়ের সময় থেকেই ওর পরিকল্পনা ছিল।” তিনি জানান, রাজা মেঘালয়ে গিয়েছিলেন প্রায় ১০ লাখ টাকার সোনা ও হিরের গহনা পরে। রাজার কথায়, সে গহনা সোনমই পরতে বলেছিল (Meghalaya Murder)।
রাজার মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “যদি সোনম এই খুনে (Meghalaya Murder) জড়িত থাকে, তাহলে ওকে ফাঁসির সাজা দেওয়া উচিত। পুলিশ সকালেও জানায়নি যে সোনমকে পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চাই। যদি সোনম দোষী না হয়, তাহলে কেন ওকে দোষ দেওয়া হচ্ছে? যদি ও সত্যি রাজাকে ভালোবাসত, তাহলে কেন ওকে মরতে রেখে আসল? এই ঘটনার পেছনে যারা আছেন, সবাইকে কঠোর শাস্তি দেওয়া দরকার।”
অন্যদিকে, সোনমের বাবা তার মেয়ে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমার মেয়ে নির্দোষ। দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়েছিল। মেঘালয় পুলিশ মিথ্যা বলছে। আমি মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে সিবিআই তদন্তের দাবি করব। সিবিআই তদন্ত শুরু হলে পুলিশ স্টেশনের অফিসাররাই জেলে যাবে।”