বাংলাদেশের নাগরিক (Bangladeshi) নিউটন দাসের তৃণমূল যোগ ফের একবার সামনে এল। কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বিপ্লব দাস অভিযোগ তুলেছেন যে, নিউটন দাস শুধু ভোট দিয়েছেন তৃণমূলকে তাই নয়, তাঁকে জামিন করাতে একাধিকবার তৎকালীন টিএমসিপি নেতা তথা বর্তমানে সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস দাস নিজে গিয়েছিলেন বনগাঁ আদালতে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে নিউটন দাসকে (Bangladeshi) বনগাঁ সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক (Bangladeshi) , তাঁর কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ছিল। কিন্তু একইসঙ্গে ভারতীয় ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ও প্যান কার্ডও ছিল তাঁর কাছে। এতেই সন্দেহ হয় এবং পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। প্রায় ৯০ দিন জেল খাটার পর জামিনে ছাড়া পান নিউটন।
বিপ্লব দাস দাবি করেছেন, নিউটনের জামিনের জন্য বারবার বনগাঁ গিয়েছিলেন দেবাশিস দাস। জামিনের পর নিউটন আবারও কাকদ্বীপে ফিরে আসেন এবং দেবাশিস ও আরও একজন পার্টনারকে নিয়ে একটি রেস্তোরাঁ চালু করেন (Bangladeshi) । কিন্তু পরে ওই ব্যবসা বন্ধ হলে, নিউটন ব্যবসার অন্য পার্টনার হরিপদ দাসের কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যান বলে অভিযোগ।

বিপ্লব দাস জানান, “নিউটনকে (Bangladeshi) আমি ২০২১ সাল থেকে চিনি। ওর তৃণমূল সংযোগ তখন থেকেই দেখেছি। মিটিং-মিছিলে দেবাশিসের সঙ্গে ঘুরতেন, খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তাঁদের মধ্যে। পরে যখন গ্রেফতার হয়, তখনও দেবাশিস দাস তাঁকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন।”
যাঁর বিরুদ্ধে এই সমস্ত অভিযোগ, সেই দেবাশিস দাস অবশ্য পুরো বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমার নামে কে কী বলল, তা নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না। যদি কোনও প্রমাণ থাকে, তাহলে থানায় কেস করুক। আর ছবি বা গল্প নিয়ে অনেকে অনেক কিছু বলবে, আমি এসব গায়ে মাখি না।”
এই ঘটনায় তৃণমূলের অন্দরেই তৈরি হয়েছে বিতর্কের ঝড়। একদিকে দলের একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, অন্যদিকে সাংগঠনিক সভাপতি — নিউটন দাসকে ঘিরে দুই নেতার বক্তব্য পুরোপুরি বিপরীত। তবে এ ঘটনা তৃণমূলের জন্য যে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।