Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • বন্ধুত্বে ছেড়েছে! ট্রাম্পকে ‘হারানোর হুমকি’ দিলেন ইলন মাস্ক
বিদেশ

বন্ধুত্বে ছেড়েছে! ট্রাম্পকে ‘হারানোর হুমকি’ দিলেন ইলন মাস্ক

Email :11

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) প্রকাশ্যে হতাশা জানালেন ইলন মাস্কের ওপর। একসময় যাঁকে তিনি বলতেন ‘আমার প্রথম বন্ধু’, সেই ইলন মাস্ক এখন ট্রাম্পের প্রস্তাবিত রিপাবলিকান ট্যাক্স বিলের তীব্র সমালোচক। হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমি খুব অবাক এবং খুবই হতাশ। ইলনের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক ছিল, এখন আর আছে কি না জানি না।”

ট্রাম্প (Donald Trump) আরও বলেন, “সে একসময় আমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিল। এখনো আমাকে সরাসরি খারাপ বলেনি, তবে আমি নিশ্চিত সেটাও হবে। আমি ওকে অনেক সাহায্য করেছি। তাই এমন অবস্থায় পৌঁছানো খুব কষ্টদায়ক।”

সম্প্রতি, ইলন মাস্ক তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ একাধিক পোস্টে রিপাবলিকান বাজেট বিলকে ‘ঘৃণ্য দুর্নীতি’  (Donald Trump) বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “এই বিলের কারণে দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় আরও ঘনিয়ে আসবে।” মাস্ক এমনও দাবি করেন যে, “আমি না থাকলে ট্রাম্প আগের নির্বাচনে হেরে যেতেন।”

এই মন্তব্যের পেছনে রয়েছে মাস্কের অতীত ভূমিকা—তিনি একসময় ছিলেন ‘ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি’-এর প্রধান, যার দায়িত্ব ছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বাজেট অপচয় হ্রাস করা। সেই ভূমিকায় থেকেই মাস্ক সবসময়ই ‘অপ্রয়োজনীয় ব্যয়’ কমানোর পক্ষপাতী ছিলেন।

এই নতুন রিপাবলিকান বাজেট বিলটি মার্কিন করব্যবস্থায় কিছু বড় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে আছে:

  • ২০১৭ সালের কর ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানো
  • টিপস, ওভারটাইম ও সোশ্যাল সিকিউরিটি ইনকামে কর তুলে দেওয়া
  • চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট বাড়ানো
  • দশ বছরে ২ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় কমানো (মূলত মেডিকেড ও SNAP ফুড স্ট্যাম্প প্রোগ্রাম থেকে)
  • প্রতিরক্ষা ও সীমান্ত নিরাপত্তায় বড় বরাদ্দ

তবে সমালোচকরা বলছেন, এই বিল বাস্তবায়িত হলে ২৪০০ বিলিয়ন ডলার জাতীয় ঋণ বাড়বে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ওপর আঘাত আসবে।

মাস্কের ক্ষোভের আরেকটি বড় কারণ হলো—এই বিলটিতে ইলেকট্রিক গাড়ি (EV) কেনায় ভোক্তাদের জন্য যেসব ট্যাক্স সুবিধা ছিল, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। এটি সরাসরি তাঁর কোম্পানি Tesla এবং EV খাতের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Axios নামের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মাস্ক নাকি ক্ষুব্ধ এই কারণে যে, বিলটিতে তাঁর ব্যবসার জন্য কোনো সুবিধাজনক ধারা রাখা হয়নি। তিনি আরও বলেন, “এই বিলটা একটা জঘন্য ষড়যন্ত্র। যাঁরা পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা জানেন—তাঁরা কী ভুলটা করেছেন।”

এই অবস্থায় ইলন মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে বন্ধুত্ব যে চরম তলানিতে এসে ঠেকেছে, তা আর অস্বীকার করার কিছু নেই। একসময় একে অপরকে “ব্রিলিয়্যান্ট”, “গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু”, “আমেরিকার ভবিষ্যত” বললেও এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts