ইস্তানবুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা ফের ফলপ্রসূ হলো না। সোমবারের বৈঠকে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে নির্বিশেষ যুদ্ধবিরতির (Ceasefire) প্রস্তাব দেওয়া হলেও রাশিয়া তা সরাসরি নাকচ করে। বৈঠকের পর ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি সের্হি কিসলিৎসা বলেন, “রাশিয়ান প্রতিনিধি দল বিনা শর্তে যুদ্ধ (Ceasefire) থামাতে রাজি নয়।”
অন্যদিকে, রুশ প্রধান আলোচক ভ্লাদিমির মেদিনস্কি জানান, রাশিয়া শুধু ফ্রন্টলাইনের কিছু এলাকায় ২-৩ দিনের সাময়িক যুদ্ধবিরতির (Ceasefire) প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে সেনারা মৃতদেহ সরাতে পারে।
এই আলোচনাতেই ইউক্রেন রাশিয়ার কাছে জোর করে নিয়ে যাওয়া শিশুদের তালিকা তুলে দেয়, তাদের ফেরত চায় কিয়েভ। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, নতুন বন্দি বিনিময় নিয়েও আলোচনা হয়েছে (Ceasefire)।
ইউক্রেন বলছে, আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় তারা। ২০ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে পরবর্তী বৈঠকের প্রস্তাবও দিয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ বলেন, এবার জেলেনস্কি-পুতিন সরাসরি সাক্ষাৎ হোক, এটাই সময়।
এর আগে গত মাসে জেলেনস্কি নিজে পুতিনকে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, সাহস থাকলে ইস্তানবুলে এসে মুখোমুখি আলোচনায় আসুন। তবে তখনও পুতিন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির দাবি অস্বীকার করেছিলেন।
এই আলোচনার মাঝেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে মস্কো। ইউক্রেনের একটি দুঃসাহসিক হামলায় রাশিয়ার পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে আঘাত হানে কিয়েভ। হামলা হয়েছে সাইবেরিয়া, আর্কটিক ও ফার ইস্টের ঘাঁটিতে — ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ৭,০০০ কিলোমিটার দূরে।
এই ঘটনায় রাশিয়ার যুদ্ধপন্থী ব্লগাররা কিয়েভে ‘প্রবল প্রতিশোধের’ দাবি জানিয়েছে।