শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্যার স্বামীকে (East Burdwan)। অভিযুক্ত ব্যক্তি পেশায় ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট। পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না থানার সেহারাবাজারের একটি নার্সিংহোমে (East Burdwan) কর্মরত ছিলেন তিনি।
অভিযোগ, এক রোগীনির বাড়িতে গিয়ে ড্রেসিং করার নাম করে তাঁর উপর যৌন নিগ্রহ চালান অভিযুক্ত। এই ঘটনার পর পুলিশ সোমবার রায়নার (East Burdwan) শ্যামসুন্দর হাটতলা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার ধৃতকে বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। আদালতের নির্দেশে তাঁকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে এবং ২ জুন ফের আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা মহিলা বাঁকুড়ার ইন্দাস থানা এলাকার বউমা, তবে বর্তমানে বাপেরবাড়ি রায়নার নারুগ্রামে রয়েছেন। ১৩ মে সেহারাবাজারের একটি নার্সিংহোমে তাঁর গলব্লাডার অপারেশন হয়। ১৮ মে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে ড্রেসিং চলছিল।
২১ মে সকাল ১০টা নাগাদ অভিযুক্ত ওটি অ্যাসিস্ট্যান্ট তাঁর বাড়িতে ড্রেসিং করতে যান। তখন মহিলা ঘরে একা ছিলেন। ড্রেসিংয়ের পর অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রথমে তাঁর মাসিক বন্ধ হয়েছে কি না তা জানতে চান। এরপর চেকআপের অজুহাতে গোপনাঙ্গে হাত দেন এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। এমনকি মহিলাকে জোর করে চুম্বন করতেও যান।
মহিলা চিৎকার করে মাকে ডাকেন। তাঁর মা ঘরে ঢুকতেই অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে যান। পরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। পুলিশের তরফে ঘটনার সময় পরিহিত পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তের মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য আদালতে আবেদন করেছে পুলিশ এবং ফরেন্সিক বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে।