Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • রাজ্য
  • “চিনে রাখ বন্ধু, কারা চোখের জল ফেলে রাজনীতি করছে!” — হাই কোর্টের রায়ের পর বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ!
রাজ্য

“চিনে রাখ বন্ধু, কারা চোখের জল ফেলে রাজনীতি করছে!” — হাই কোর্টের রায়ের পর বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ!

kunal ghosh
Email :6

চাকরি হারানো গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর রাজ্যের রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় উঠেছে। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্য সরকার কোনওভাবেই এই ভাতা দিতে পারবে না। আদালতের এই রায়ের পরই রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে ওঠে। একদিকে বিরোধীরা এই রায়কে রাজ্য সরকারের জন্য ‘চপেটাঘাত’ বলে মন্তব্য করছে, অন্যদিকে তৃণমূল শিবির এই রায়কে ‘মানবিক উদ্যোগে বাধা’ বলেই আখ্যা দিচ্ছে (Kunal Ghosh)।

২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল থেকে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এই পরিস্থিতিতে, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তাঁদের সংসার চালানোর জন্য গ্রুপ সি কর্মীদের মাসে ২৫ হাজার টাকা ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেবে। গত মে মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘোষণা করেছিলেন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে। তবে এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ হলে, শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট সেই বিষয়ে রায় দেয় এবং অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে (Kunal Ghosh)।

এই রায়ের পরই তৃণমূল নেতা কুণাল(Kunal Ghosh) ঘোষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, “মানবিক মুখ্যমন্ত্রী একটি দরকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়াতে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কারা এই ঘোষণার বিরুদ্ধে আদালতে গেলেন? এদের সবাইকে চিনে রাখুন। আমি আদালত নিয়ে কিছু বলছি না, কিন্তু যারা মানুষের চোখের জলকে হাতিয়ার করে বিরোধী রাজনীতি করছে, তাদের চিনে রাখার সময় এসেছে। বন্ধু, তোমার পথের সাথীকে চিনে রাখো।”

একইভাবে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারও। তিনি বলেন, “বিচারব্যবস্থা যেন এখন এমন ভাবে কাজ করছে, যাতে রাজ্য সরকার কোনও কাজই করতে না পারে। একটার পর একটা কাজ আটকে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে বিপজ্জনক। আমরা আগেও দেখেছি কিছু বিচারপতি কীভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায় দিচ্ছিলেন।”

অন্যদিকে, বিজেপির বিধায়ক শংকর ঘোষ বলেন, “এই রায় রাজ্য সরকারের গালে আরেকটা জোরালো চপেটাঘাত। তবে এটা ঠিক, যাঁরা কাজ হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি মানুষের সহানুভূতি থাকবেই। কিন্তু আইনের চোখে যা ঠিক, সেটা মেনেই তো চলতে হবে।”

সব মিলিয়ে রাজ্য সরকার বনাম বিচারব্যবস্থা ও বিরোধীদের দ্বন্দ্ব আরও জটিল আকার নিচ্ছে। সামনে নির্বাচন থাকায় এই ইস্যু যে আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে, তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts