Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • গোপন চক্রান্ত ফাঁস! কানাডা জানাল, ওদের দেশ থেকেই চলছে খালিস্তানি হিংসার ছক
দেশ

গোপন চক্রান্ত ফাঁস! কানাডা জানাল, ওদের দেশ থেকেই চলছে খালিস্তানি হিংসার ছক

khalistani
Email :6

প্রথমবারের মতো কানাডার শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা CSIS (Canadian Security Intelligence Service) তাদের বার্ষিক রিপোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নিয়েছে যে, খালিস্তানি (Khalistani) চরমপন্থীরা কানাডার মাটি থেকে ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এরা মূলত ভারতকে লক্ষ্য করে বিচ্ছিন্নতাবাদ ছড়ানো, তহবিল সংগ্রহ এবং সহিংসতার পরিকল্পনা করছে। এই স্বীকারোক্তি ভারতের বহুদিনের অভিযোগকেই সত্য প্রমাণ করল।

CSIS-এর মতে, ১৯৮০’র দশক থেকে কানাডা-ভিত্তিক খালিস্তানি (Khalistani) চরমপন্থীরা (CBKEs) সহিংস উপায়ে পাঞ্জাবে একটি স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র গঠনের জন্য সক্রিয় রয়েছে। এতদিন পর্যন্ত কানাডা সরকার এই ধরণের ভারতবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিল্লি বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। এই রিপোর্ট সেই দৃষ্টিভঙ্গিরই স্পষ্ট স্বীকৃতি।

তবে একই রিপোর্টে ভারতকেও বিদেশি হস্তক্ষেপ ও গুপ্তচরবৃত্তির “মূল অভিযুক্তদের” একজন হিসেবে (Khalistani) উল্লেখ করেছে CSIS, চীন, রাশিয়া, ইরান এবং পাকিস্তানের পাশাপাশি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতীয় কর্মকর্তারা এবং কানাডায় তাদের প্রভাবিত ব্যক্তিরা কানাডার সমাজ ও রাজনীতিতে প্রভাব ফেলার জন্য নানা কৌশল গ্রহণ করছে। যদি সেই কার্যকলাপ প্রতারণামূলক বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের পর্যায়ে যায়, তবে তা বিদেশি হস্তক্ষেপের আওতায় পড়বে (Khalistani)।

এই দ্বৈত অবস্থানের ফলে কানাডা কূটনৈতিকভাবে এক অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়েছে। বিশেষ করে যখন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাইছেন, বিশেষ করে খালিস্তানি সন্ত্রাসী হারদীপ সিং নিজ্জার-এর ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় হত্যাকে কেন্দ্র করে দু’দেশের সম্পর্ক অতীতে তলানিতে গিয়েছিল।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, নিজ্জার কেসটি (Khalistani) ভারত সরকার ও অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংযোগের ইঙ্গিত দেয়। এটি খালিস্তান (Khalistani) আন্দোলনের বিরুদ্ধে ভারতের “দমনমূলক কর্মকাণ্ড”-এর একটি গুরুতর পর্যায় বলে চিহ্নিত হয়েছে।

CSIS দাবি করেছে, “কানাডা থেকে উদ্ভূত প্রকৃত ও প্রতীয়মান খালিস্তানি চরমপন্থা, ভারতকে কানাডায় আরও বিদেশি হস্তক্ষেপমূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত করছে।”

ভারত আবারও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং নিজ্জার হত্যায় জড়িত থাকার কথাও আগেই পুরোপুরি নাকচ করেছে।

এই রিপোর্ট প্রকাশের ঠিক সময়েই G7 শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনি-র মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠক হয়। দীর্ঘ দুই বছর বাদে দু’দেশের মধ্যে এই মুখোমুখি বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়। ভারত ও কানাডা সিদ্ধান্ত নিয়েছে নতুন হাই কমিশনার নিয়োগ করবে এবং বাণিজ্য আলোচনা পুনরায় শুরু হবে।

বৈঠকের পর কারনি জানান, মোদীর সঙ্গে তার আলোচনা ছিল “খোলামেলা এবং গঠনমূলক।” দুই নেতা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে দমনমূলক কৌশল নিয়ে স্পষ্ট আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts