Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ভয়াবহ সত্যি লুকিয়ে ব্ল্যাক বক্সে? AI 171-এর রহস্য জানতে আমেরিকার দ্বারস্থ ভারত!
দেশ

ভয়াবহ সত্যি লুকিয়ে ব্ল্যাক বক্সে? AI 171-এর রহস্য জানতে আমেরিকার দ্বারস্থ ভারত!

plane crash hostel
Email :4

গত সপ্তাহে আহমেদাবাদে ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Plane Crash) কবলে পড়া এয়ার ইন্ডিয়া-র AI 171 ফ্লাইটের ব্ল্যাক বক্স সম্ভবত পাঠানো হবে আমেরিকায়, কারণ তাতে আগুনের তাপে গুরুতর বাহ্যিক ক্ষতি হয়েছে। Economic Times-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে এমন ক্ষতিগ্রস্ত ব্ল্যাক বক্স (Plane Crash) থেকে তথ্য উদ্ধারের পর্যাপ্ত প্রযুক্তি নেই।

ফ্লাইটটি ছিল লন্ডনগামী বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার। উড়ানের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সেটি আহমেদাবাদের বিখ্যাত বিএ জে মেডিকেল কলেজের হোস্টেল ভবনের ওপর ভেঙে পড়ে (Plane Crash)। দুর্ঘটনায় বিমানের ২৪১ জন যাত্রী ও ক্রু ছাড়াও নিচে থাকা আরও বহু মানুষ—মোট ২৭৪ জন প্রাণ হারান। এমন ভয়ানক আগুন লাগে যে দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশে তাপমাত্রা পৌঁছে যায় প্রায় ১০০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সেই তীব্র তাপেই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্ল্যাক বক্স।

plane crash a
বিধ্বস্ত বিমান

ব্ল্যাক বক্সের (Plane Crash) দুটি অংশ—ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (CVR) ও ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (FDR)—দুর্ঘটনার দুই দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়। এগুলি মিলে ‘ব্ল্যাক বক্স’ নামে পরিচিত। CVR বিমানের ককপিটের প্রতিটি শব্দ, পাইলটদের কথোপকথন ধরে রাখে, আর FDR বিমানের গতি, উচ্চতা, ইঞ্জিনের অবস্থা সহ বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধরে রাখে।

এই ব্ল্যাক বক্স পাঠানো হতে পারে আমেরিকার (Plane Crash) ওয়াশিংটনে অবস্থিত National Transportation Safety Board (NTSB)-এর ল্যাবরেটরিতে, যেখানে এমন গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রেকর্ডার থেকে তথ্য উদ্ধার সম্ভব। তবে ভারতের Aircraft Accident Investigation Bureau (AAIB)-র ডিরেক্টর জিভি জুগন্ধর বলেন, এই তথ্য ‘সঠিক নয়’, যদিও তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।

এই ব্ল্যাক বক্স থেকে তথ্য উদ্ধার করতে কয়েকদিন থেকে কয়েকমাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে, নির্ভর করছে ক্ষতির মাত্রার ওপর (Plane Crash)। তবে এই তথ্য বিশ্লেষণই বলে দেবে ঠিক কীভাবে ও কেন ঘটল এই বিপর্যয়।

একজন প্রাক্তন মার্কিন নৌসেনা পাইলট ক্যাপ্টেন স্টিভ শাইবনার জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হতে পারে dual engine failure, অর্থাৎ উড়ানের শুরুতেই দুই ইঞ্জিন একসাথে বন্ধ হয়ে যাওয়া। তিনি বলেন, বিমানের Ram Air Turbine (RAT) তৎক্ষণাৎ চালু হয়ে যাওয়া ইঙ্গিত দেয় বড় ধরণের যান্ত্রিক বিপর্যয়ের।

এই মুহূর্তে AAIB-এর হাতে আছে মাত্র তিন মাস সময় পুরো তদন্ত শেষ করার জন্য। ব্ল্যাক বক্স ডিকোডিং-ই এখন মূল চাবিকাঠি, যা বলবে কী ঘটেছিল সেই মর্মান্তিক কয়েক সেকেন্ডে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts