পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর এবার বাংলাদেশ সীমান্ত (Bangladesh Border) ঘেঁষা রেলপথে নাশকতার আশঙ্কা করছে রেল ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর। তাই উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের নির্দেশে সীমান্তবর্তী (Bangladesh Border) রেল স্টেশন এবং ট্র্যাকগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। আরপিএফ, জিআরপি এবং বিএসএফ যৌথভাবে শুরু করেছে টহল ও তল্লাশি অভিযান (Bangladesh Border)। নিউ ময়নাগুড়ি থেকে নিউ দোমোহনি, জলপাইগুড়ি, হলদিবাড়ি, বালুরঘাট (Bangladesh Border)— একাধিক স্পর্শকাতর এলাকায় মোতায়েন হয়েছে বাহিনী, নামানো হয়েছে স্নিফার ডগও।
গোয়েন্দা সূত্রে আশঙ্কা, বাংলাদেশ–পাকিস্তান গোপন যোগসাজশে সীমান্তপথে ভারতে অনুপ্রবেশ কিংবা ট্রেন লক্ষ্য করে হামলা হতে পারে। সেই কারণেই টহলের সঙ্গে চলছে কড়া তল্লাশিও। ট্রেন, যাত্রী এমনকি রেলকর্মীদেরও স্ক্যান করা হচ্ছে। হলদিবাড়ি স্টেশন, যা বাংলাদেশের সঙ্গে রেলপথে সংযুক্ত, সেখানেও বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ‘চিকেনস নেক’ করিডোর ঘিরে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। কারণ এই অঞ্চলই মূলত বাকি ভারতের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একমাত্র রেল যোগাযোগের পথ। একবার এই পথ বিপর্যস্ত হলে গোটা অঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা।
রেল সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বিশেষ নির্দেশেই এই সতর্কতা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। বদরপুর, নিউ জলপাইগুড়ি, কিষানগঞ্জ, বালুরঘাট— সর্বত্রই আরপিএফ, জিআরপি এবং বিএসএফের সমন্বয়ে চলছে অভিযান। অবৈধ পারাপার, চোরাচালান ও সন্দেহজনক চলাচল রুখতেই এই ব্যবস্থা।
আরপিএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, যাত্রী এবং রেল সম্পত্তির সুরক্ষাই এখন তাদের প্রথম লক্ষ্য। সেই উদ্দেশ্যে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে স্থায়ী নজরদারির পাশাপাশি চালানো হচ্ছে সচেতনতা অভিযানও। মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানান, “দেশের নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে সীমান্ত এলাকায় প্রতিটি সন্দেহজনক নড়াচড়ার উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে।”
