Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • Important
  • ইরানের গোপন পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনায় ইসরায়েল – কী করছে আমেরিকা?
বিদেশ

ইরানের গোপন পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলার পরিকল্পনায় ইসরায়েল – কী করছে আমেরিকা?

iran and israel clash
Email :9

ইসরায়েল হয়তো শিগগিরই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলা চালাতে পারে (Iran Israel Clash)—এমনটাই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়াই ইসরায়েল এই পদক্ষেপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে এনবিসি নিউজ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে একটি সম্ভাব্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার অগ্রগতি ইসরায়েলের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে (Iran Israel Clash)। কারণ, সেই চুক্তির খসড়ায় ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কিছু ক্ষমতা রাখার সুযোগ দেওয়া হতে পারে, যা ইসরায়েলের দৃষ্টিতে খুবই বিপজ্জনক (Iran Israel Clash)।

এ বিষয়ে এনবিসি সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েল দৃঢ়ভাবে মনে করছে—যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার ফ্রেমওয়ার্ক ইরানের হাতে এমন ক্ষমতা তুলে দিচ্ছে যা ভবিষ্যতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি সহজ করে দিতে পারে। এই কারণেই ইসরায়েল একাই সামরিক অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে (Iran Israel Clash)।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধ অনিবার্য নয়, তবে পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে, তা চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, “আমি বলতে চাই না যে যুদ্ধ আসন্ন, তবে এটাকে এখন আর অস্বীকার করা যাচ্ছে না। ইরান পারমাণবিক অস্ত্র পেতে পারবে না—এটাই আমাদের অবস্থান (Iran Israel Clash)।”

এই উত্তেজনার ফলে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের কূটনৈতিক ও সামরিক অবস্থান জোরদার করেছে (Iran Israel Clash)। বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস থেকে অপ্রয়োজনীয় কর্মীদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বাহরাইন ও কুয়েতেও (Iran Israel Clash)। ট্রাম্প বলেন, “আমি চাই না, যেন হঠাৎ মিসাইল এসে কারও ভবনে পড়ে, আর আমি কোনো সতর্কতা দিইনি। তাই আমাকে ব্যবস্থা নিতেই হয়েছে।”

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সেনাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যপ্রাচ্য থেকে স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন (Iran Israel Clash)। সেন্টকম জানিয়েছে, তারা এই অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে (Iran Israel Clash)। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (IAEA) ইরানকে দীর্ঘ ২০ বছর পর আনুষ্ঠানিকভাবে নিন্দা জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তারা ঘোষণা করেছে—তারা তৃতীয় একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র চালু করতে যাচ্ছে। ইরানের দুটি স্থাপনা, ফরদো এবং নাতানজ, ইতিমধ্যেই পাহাড়ের নিচে অবস্থিত, এবং নতুন স্থাপনাও নাতানজের কাছে নির্মাণাধীন।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পরমাণু সংস্থা এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, এই রাজনৈতিক চাপের জবাব দিতে তারা বাধ্য (Iran Israel Clash)।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, “ইসরায়েল যদি আমাদের স্থাপনাগুলো ধ্বংসও করে দেয় , তবু সবকিছু শেষ হয়ে যাবে না। জ্ঞান আমাদের মস্তিষ্কে রয়েছে, আমরা আবার তৈরি করব।” একইভাবে রেভল্যুশনারি গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি হুঁশিয়ার করে বলেন, “ইরানের প্রতিশোধ হবে এর আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ধ্বংসাত্মক।”

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এখনো প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আশা ছাড়েননি। তিনি বলেন, “আমি যতক্ষণ পর্যন্ত মনে করব একটা চুক্তির সুযোগ আছে, ততক্ষণ আমি চাই না ইসরায়েল হামলা করুক। কারণ এতে সম্ভাব্য সমাধান ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।”

এই উত্তপ্ত আবহের মধ্যেই রোববার ওমানে আমেরিকা ও ইরানের  মধ্যে ষষ্ঠ দফার আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts