শনিবার বিকেলে খড়দহ থানার পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান চালায় ডোমজুড় থানার পুলিশ (Panihati)। অভিযান চলে হাওড়ার বাঁকড়া এলাকায়, অভিযুক্ত আরিয়ান খানের বাড়িতে। কিন্তু সেখানে পৌঁছেও পুলিশ খালি হাতে ফিরে আসে। শুধুই আরিয়ান নয়, খোঁজ মেলেনি তাঁর মা শ্বেতা খানেরও। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পানিহাটির এক তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল।
অভিযোগ, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীকে (Panihati) আরিয়ান তাঁর প্রোডাকশন হাউস ‘ইশারা’র নামে ডেকে নেয়। এরপর তাঁকে জোর করে বার ড্যান্সে নামানো হয়, শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, পাঁচ মাস ধরে তাঁকে বন্দি করে রেখে নিয়মিত নির্যাতন চালানো হয়। এমনকি লোহার রড দিয়ে মারধর, গোপনাঙ্গে আঘাত এবং সিগারেট দিয়ে শরীর ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগও করেছেন তিনি । বর্তমানে তিনি সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন।
তরুণীর মা জানিয়েছেন, মেয়ের মাথা, কোমর, পা সব জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর নিজের মুখেই তরুণী জানিয়েছেন (Panihati), কোনওরকমে একদিন আগে ডোমজুড় থেকে পালিয়ে এসেছেন তিনি। জানা গেছে, পালাতে সাহায্য করেছিলেন আরিয়ানের ঠাকুমা—তিনিই সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ করে দেন, যার সুযোগে পালাতে সক্ষম হন নির্যাতিতা।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ‘ইশারা’ নামে একটি ভুয়ো প্রোডাকশন হাউস খোলেন আরিয়ান ও তাঁর মা শ্বেতা খান । বাইরের থেকে কাজের প্রস্তাব দিয়ে মেয়েদের ডেকে এনে, মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে, পরে জোর করে পর্নোগ্রাফির ব্যবসায় নামানো হত। স্থানীয়দের দাবি, শ্বেতা খান, যিনি এলাকায় ‘ফুলটুসি’ নামে পরিচিত, দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত। ছেলে আরিয়ান খানের নামেও ছিনতাই-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে পুলিশের খাতায়।
তবে এখন মা-ছেলে কেউই এলাকায় নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরে তাঁদের দেখা যায়নি। শনিবার পুলিশ আশপাশের বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট ও বাড়িতে তল্লাশি চালালেও তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। অভিযুক্তদের খুঁজে পেতে জোরকদমে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। সারা এলাকায় উত্তেজনা ও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।