দিন কয়েক আগেই রাশিয়ার ওপর ড্রোন হামলা চালিয়েছিল ইউক্রেন (Ukraine)। সেই হামলায় বেশ ক্ষতি হয়েছিল রাশিয়ার। তবে তারপরও শান্তি আলোচনায় বসেছিল দুই দেশ। রাশিয়া সম্মত হয়েছিল ইউক্রেনের (Ukraine) ৬০০ সেনার মৃতদেহ ফেরাতে।
তবে রাশিয়া আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, ওই হামলার (Ukraine) জবাব তারা দেবে। এমনকী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের সময়ও এই বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
অবশেষে সেই জবাব দিল রাশিয়া। ইউক্রেনের স্পাইডারওয়েব নামক হামলার জবাবে রাশিয়া একযোগে ৪০০-র বেশি ড্রোন ও ৪০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইউক্রেনে।
এই হামলার পর ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “আজ সারা দেশে উদ্ধার ও জরুরি পরিষেবা চালু রয়েছে। রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রে ৮০ জন আহত হয়েছেন। কেউ কেউ এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে আছেন।”
তিনি আরও বলেন, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বিশ্বের সবাই এই ধরনের হামলার বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না। পুতিন এই নীরবতাকেই কাজে লাগাচ্ছেন, যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সময় কিনছেন।”
ইউক্রেনের (Ukraine) জরুরি পরিষেবা জানিয়েছে, কিয়েভে তিনজন দমকলকর্মী, লুটস্কে দু’জন সাধারণ নাগরিক এবং চেরনিহিভে একজন নিহত হয়েছেন।
এই হামলাকে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের মধ্যে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সবচেয়ে বড় আক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে। কিয়েভ, লভিভ, সুমি-সহ ইউক্রেনের নয়টি অঞ্চল এই হামলার শিকার হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনের ‘সন্ত্রাসমূলক অপারেশন স্পাইডারওয়েব’-এর জবাবেই এই পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে।
জেলেনস্কি আরও বলেন, “রাশিয়া চায় বিশ্ব ঐক্যে ফাটল ধরাতে। তাই আমাদের একসাথে কূটনৈতিকভাবে শক্ত প্রতিক্রিয়া দিতে হবে। এখনই যুদ্ধবিরতির ব্যবস্থা নিতে হবে, রাশিয়ার ওপর চাপ তৈরি করতে হবে।”