দিঘার জগন্নাথ ধামের (Digha Jagannath Temple) প্রসাদ রাজ্যের সমস্ত মানুষের বাড়িতে পাঠানো হবে—এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, মন্দিরের (Digha Jagannath Temple) প্রসাদের নামে পাড়ার মিষ্টির দোকান থেকে আনা মিষ্টি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, “এইগুলো মিষ্টি হিসাবে খাবেন, প্রসাদ হিসাবে নয়।”
এই মন্তব্যের পরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পর্যটন বিভাগের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন (Digha Jagannath Temple)। তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, “খোয়া ক্ষীর দিঘায় নিয়ে গিয়ে সেখানে জগন্নাথ দেবকে পুজো দিয়ে তা মহাপ্রসাদ রূপে পরিণত করা হবে। এরপর সেটি জেলায় জেলায় পাঠানো হবে এবং প্যাঁড়া বা গজা তৈরির সময় সেই খোয়া মিশিয়ে তারপরই মানুষকে বিতরণ করা হবে।”
তিনি বলেন, “এটা কোনও সাধারণ মিষ্টি নয়, এটি জগন্নাথের প্রসাদ (Digha Jagannath Temple) হিসাবেই দেওয়া হবে। এই নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।” ইন্দ্রনীল কারও নাম না করেই বলেন, “যাঁরা ধর্মীয় তাস খেলে ভোটে জেতার চেষ্টা করেন, তাঁদের আসল চেহারা আজ উন্মোচিত। বাংলার মানুষ এসব বুঝে গেছেন।”
তিনি আরও জানান, “সরকার চলে মানুষের টাকায়, আর সেই টাকাতেই তৈরি হয়েছে মন্দির। তাই রাজ্যের প্রতিটি মানুষ এই প্রসাদ পাওয়ার অধিকার রাখেন। কারও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করার প্রশ্নই নেই।”
প্রসাদের (Digha Jagannath Temple) প্যাকেট রেশন ডিলারের মাধ্যমে বাড়িতে পৌঁছে যাবে বলে রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে। এই প্রকল্পে কোনও রাজনৈতিক কর্মী জড়িত থাকবেন না বলেও স্পষ্ট করেছে প্রশাসন।
প্রসাদ বিতরণ শুরু হবে ১৭ জুন থেকে। তবে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, “এটা প্রকৃত প্রসাদ নয়। হিন্দুদের বিশ্বাসের অপমান করা হচ্ছে।”