চন্দননগরের (Chandannagar) বৈদ্যপোতায় ফের অন্ধকারে ঢাকা দিল একটি পরিবার। একই পরিবারের তিনজন সদস্য ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন (Chandannagar)। মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধ পিতার। গুরতর অসুস্থ স্ত্রী, আর মেয়েকে চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে একেন্দ্র নাথ দাস (৮৭) নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে (Chandannagar)। পরিবারের আরও দুই সদস্য স্ত্রী সুনীতা দাস (৮৩) ও মেয়ে শর্মিষ্ঠা দাস (৪৩)। বুধবার সকালে তিনজনেরই অচৈতন্য দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে একেন্দ্রবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। শর্মিষ্ঠাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। সুনীতাদেবীর এখনও চিকিৎসা চলছে (Chandannagar)।
পুলিশ সূত্রে প্রাথমিকভাবে অনুমান, দীর্ঘদিন ধরে পরিবারটি চরম আর্থিক সংকটে ভুগছিল। শর্মিষ্ঠার কথায়, “বাড়িতে কাজ করার কেউ নেই। অনেক অনটন। তাই তিনজনই ঘুমের ওষুধ খাই।”
স্থানীয় বাসিন্দারা (Chandannagar) জানিয়েছেন, একসময় এই পরিবারটি বেশ সচ্ছল ছিল। কোলিয়ারির ব্যবসা ছিল একেন্দ্রবাবুর। কিন্তু কয়েক বছর ধরেই চরম আর্থিক দুর্দশায় ভুগছিলেন তাঁরা। বাইরের কারও সঙ্গে বিশেষ মেলামেশাও করতেন না। শেষবার তিনদিন আগে দেখা গিয়েছিল বৃদ্ধকে। কেউ ভাবতেই পারেননি এমন মর্মান্তিক পরিণতির কথা।
ট্যাংরার ‘দে’ পরিবারের ঘটনার রেশ এখনও মুছে যায়নি শহরবাসীর মন থেকে। তার মধ্যেই চন্দননগরে এই ঘটনা আরও একবার সমাজের দারিদ্র্য ও মানসিক অবসাদের ভয়াবহ ছবিটা তুলে ধরল (Chandannagar) ।