ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Gaza-Israel Conflict) এক বিস্ময়কর ঘোষণা করেছেন, গাজা উপত্যকায় কিছু ফিলিস্তিনি গোত্র বা পরিবারকে তিনি “সক্রিয়” করেছেন হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম X (সাবেক টুইটার)-এ প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু (Gaza-Israel Conflict) জানান, “আমাদের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার উদ্দেশ্য হলো আমাদের সেনাদের প্রাণ রক্ষা করা।”
এই ঘোষণার পরই দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় (Gaza-Israel Conflict)উঠেছে। নেতানিয়াহু নিজ দলের ভেতর থেকে এবং বিরোধীদের দিক থেকেও তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন, কারণ তিনি “অফিশিয়াল নয়” এমন কিছু ফিলিস্তিনি (Gaza-Israel Conflict) গোষ্ঠীকে অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হচ্ছেন।
গাজার কিছু পরিবার ও গোত্র দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় এলাকাগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করে আসছে। এই গোষ্ঠীগুলোর অস্ত্রও রয়েছে, এবং তাদের সঙ্গে হামাসের সম্পর্ক সবসময় বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল না, বরং অতীতে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষও হয়েছে। নেতানিয়াহুর ভিডিও বার্তার পর, ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা, যিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেন— ‘আবু শাবাব’ গোত্র হলো তেমন একটি গোষ্ঠী, যাদের সক্রিয় করা হয়েছে।
সম্প্রতি আবু শাবাব গোষ্ঠী সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের সমর্থনে পরিচালিত নতুন ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। ইসরায়েল এ ধরনের সহযোগিতাকে হামাসের নিয়ন্ত্রণকে পাশ কাটিয়ে গাজাবাসীর কাছে সাহায্য পৌঁছানোর উপায় হিসেবে তুলে ধরছে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা ‘শিন বেট’-এর এক প্রাক্তন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বেন হানান এই পদক্ষেপকে “চালাকি” হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “এই ফিলিস্তিনি গোত্রগুলিকে অস্ত্র দেওয়া মানে হামাসের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ তৈরি করা। এতে আমাদের সেনাদের সরাসরি প্রবেশের প্রয়োজন কমবে এবং জীবনহানির সম্ভাবনাও কমে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, যদি স্থানীয় গোত্রগুলি গাজার কিছু অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে, তাহলে সেই এলাকায় ইসরায়েলি সেনা প্রবেশের দরকার হবে না, ফলে তারা হামাসের অতর্কিত হামলা থেকে রক্ষা পেতে পারে। নেতানিয়াহুর এই ‘গোপন কৌশল’ নিয়ে একদিকে যেমন রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের একাংশ এটিকে “নতুন ধরনের স্ট্র্যাটেজি” হিসেবে দেখছেন। তবে এও বলা হচ্ছে, এমন পদক্ষেপ গাজার অভ্যন্তরে আরও সহিংসতা ও গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।