ইসলামপুরে এক নাবালককে মোবাইল চুরির অভিযোগে নির্মমভাবে মারধরের (Tourcher) পর বিদ্যুতের শক দেওয়ার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, ওই কিশোরকে কারখানার ভেতরে উল্টো ঝুলিয়ে শারীরিক নির্যাতন (Tourcher) করা হয়। এই ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি ওই নাবালকের। দুশ্চিন্তায় কিশোরের পরিবার।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই দু’জন অভিযুক্তকে (Tourcher) গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা হলেন মোস্তাফা কামাল ও তৌহিদ আলম। কিন্তু, কারখানার মূল মালিক শাহেনশাহ এখনও পলাতক। ওই কিশোরের পরিবারের দাবি, শাহেনশাহ ফোন করে হুমকি দিয়ে বলেছিল—“২ লক্ষ টাকা আর মোবাইল দিলে ছেলেকে ছেড়ে দেব।” কিন্তু টাকা বা ফোন কিছু দেওয়ার পরও তাদের ছেলেকে ফেরানো হয়নি।
নিখোঁজ কিশোরের পরিবারের আরও দাবি, শাহেনশাহ উত্তরবঙ্গের গরিব পরিবারগুলোর নাবালক ছেলে-মেয়েদের শহরে এনে নিজের কারখানায় কাজ করাত (Tourcher) । নিখোঁজ কিশোরের দাদাও সেই কারখানায় কাজ করতেন। কিশোরের স্কুলে গরমের ছুটি থাকায় শাহেনশাহ তাকে মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিয়ে আসে কাজে। কিন্তু মাসশেষে টাকা না দিয়ে, বরং চুরির মিথ্যে অপবাদ দিয়ে তার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়।
নিখোঁজ কিশোরের এক আত্মীয় জানান, “আমার বাবা খুব অসুস্থ। বোনের বিয়ে হয়েছে সবে। সংসার চালাতে কষ্ট হয়। তাই সবাইকে কাজ করতে আসতে হয়। ভাইকে আমরা অনেক বোঝাই, ও যেন এখানে না আসে। কিন্তু ও লুকিয়ে চলে আসে কিছু টাকা রোজগারের আশায়। শাহেনশাহ আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়, তাই অত সন্দেহ করিনি। এখন বুঝতে পারছি কত বড় ভুল করেছিলাম।”
পরিবারের অভিযোগ, কিশোরের ওপর অত্যাচারের খবর পেয়ে তারা সঙ্গে সঙ্গেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে গেলেও পুলিশ এখনও নিখোঁজ কিশোরের খোঁজ দিতে পারেনি। এদিকে, ধৃত দুই অভিযুক্ত পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পরস্পরবিরোধী কথা বলছে, যা তদন্তে আরও জটিলতা তৈরি করছে।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বহুদিন ধরেই এই শাহেনশাহ তার কারখানায় গোপনে নাবালক শ্রমিক রাখত। অথচ প্রশাসনের কেউই সেদিকে নজর দেয়নি। এখন যখন এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেছে, তখন সকলে নড়েচড়ে বসেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, শাহেনশাহকে ধরতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কিশোরের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে যত দিন যাচ্ছে, পরিবারের দুশ্চিন্তা ততই বাড়ছে।