তৃণমূলের ‘দিদির পুলিশ’কে ঘিরে কু-কথা বলায় সরাসরি ভুল স্বীকার করলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। দলের নির্দেশে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ তৃণমূল কংগ্রেস একটি কড়া নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেয়, অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে তাঁকে শোকজ করা হবে। দলের এই হুঁশিয়ারির মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যে অনুব্রত লিখিতভাবে ক্ষমা চিঠি পাঠিয়ে দেন।
ক্ষমা চিঠিতে অনুব্রত (Anubrata Mondal) লেখেন, “সত্যিই আমি দুঃখিত। দিদির পুলিশের কাছে আমি ১০০ বার ক্ষমা চাইতে রাজি। আমি নানা রকম ওষুধ খাই। কেউ দিদির পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে আমার মাথা গরম হয়ে যায়।” এভাবেই ভুল স্বীকার করে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)।
তবে ক্ষমা চাইলেও নিজের অবস্থান থেকে পুরোপুরি সরে আসেননি ‘কেষ্ট’। তিনি লেখেন, “বোলপুর, সিউড়ি, রামপুরহাট — এই তিন মহকুমায় আমাদের বিশাল মিছিল হয়েছে। এত মানুষের জমায়েত দেখে ভয় পেয়ে কেউ কি চক্রান্ত করছে না? বিজেপির হাতে আইসি-কে গালিগালাজ করার ভিডিও কীভাবে এল? কে দিল সেই ফুটেজ? এর পেছনে চক্রান্ত নেই তো?”
এদিকে শুধু দল নয়, এবার অনুব্রতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশও। বোলপুর থানায় তাঁর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। জেলার পুলিশ সুপার অমনদীপ জানিয়ে দিয়েছেন, এক সরকারি অফিসারকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করায় তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও সরকারি কর্মীকে ভয় দেখানোর ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার বেশির ভাগই জামিন-অযোগ্য। পুলিশ জানিয়েছে, আইনত যতটা কড়া ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব, সব নেওয়া হবে।
একদিকে দলীয় চাপে প্রকাশ্যে ক্ষমা, অন্যদিকে পুলিশের কড়া আইনি পদক্ষেপ—সব মিলিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে ঘনিয়ে আসছে বিপদের কালো মেঘ। কেষ্টের দাবি অনুযায়ী চক্রান্ত থাকলেও, আপাতত জনসমক্ষে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন—এটাই বড় ঘটনা।