মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলায় ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর এবং মর্মান্তিক একটি ঘটনা। মেডিক্যাল কলেজের এক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী সহপাঠীদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন (Physically Abuse)। কিন্তু সেই পরিকল্পনাই পরিণত হয় ভয়ঙ্কর এক দুঃস্বপ্নে। ওই তরুণীর অভিযোগ, দুই সহপাঠী ও তাঁদের এক বন্ধু তাঁকে ফ্ল্যাটে নিয়ে গিয়ে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ (Physically Abuse) করে। এই ঘটনার পরে তরুণীকে হুমকি দেওয়া হয়, যাতে সে কাউকে কিছু না জানায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কর্নাটকের বেলাগাভির বছর বাইশের ওই তরুণী সাংলির একটি মেডিক্যাল কলেজে পড়েন (Physically Abuse)। গত ১৮ মে রাতে দুই সহপাঠীর সঙ্গে সিনেমা দেখার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের প্রস্তাবে সিনেমা শুরু হওয়ার আগে তাঁরা একটি ফ্ল্যাটে বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে পৌঁছে অভিযুক্তরা তরুণীকে অল্প পরিমাণ মদ্যপান করতে বলেন। তরুণী রাজি হলে, মদের মধ্যে সম্ভবত মাদক মেশানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। তরুণী মদ্যপানের কিছুক্ষণের মধ্যেই অবচেতন হয়ে পড়েন। তখনই অভিযুক্ত তিনজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
জ্ঞান ফিরে আসার পর অভিযুক্তরা তাঁকে হুমকি দেয়—ঘটনার কথা জানালে ফল ভাল হবে না। প্রথমে ভয়ে কাউকে কিছু না বললেও, অবশেষে তরুণী সাহস করে তাঁর বাবা-মাকে সমস্ত ঘটনা জানান। তারপরই বিশরমবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃতদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। জানা গিয়েছে, তাঁদের বাড়ি পুনে, সোলাপুর এবং সাংলি শহরে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে গণধর্ষণ, ষড়যন্ত্র এবং অপরাধমূলক হুমকির ধারা। আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ২৭ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে এবং মাদক পরীক্ষার রিপোর্টও সংগ্রহ করা হবে। তরুণীর শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা যাতে বজায় থাকে, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।