একই দিনে একাধিকবার পুলিশের বাধার মুখে পড়লেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শুক্রবার সকাল থেকেই রাজনীতির উত্তাপ চড়তে শুরু করে রাজ্যে। সকালবেলা ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ উপলক্ষে এক বিশেষ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাইক নিয়ে রওনা দেন সুকান্ত। নেতাজির বাড়ির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করতেই পুলিশ তাঁকে (Sukanta Majumdar) আটকে দেয় বলে অভিযোগ। পরে তিনি একা বাইকে করে এগিয়ে যান, তবে তাতে থামেনি বাধা।
এরপর দুপুর গড়াতেই আরেক ঘটনা। এক পরিচিত চিকিৎসক রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছিলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। হরিশ মুখার্জি রোডে পৌঁছতেই ফের তাঁকে বাধা দেয় পুলিশ। অভিযোগ, প্রায় এক ঘণ্টা তিনি নিজের গাড়িতে বসে থাকেন — পুলিশ তাঁকে সামনে এগোতে দেয়নি (Sukanta Majumdar।
ঘটনার খবর পেয়ে ওই চিকিৎসক নিজেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “ওঁর (সুকান্ত মজুমদার) সঙ্গে বাড়িতে দেখা হওয়ার কথা ছিল। আমার মা ওঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন। টিভিতে দেখে মা কেঁদে ফেলেছেন, বলেছেন যেন ওঁকে না আসতে বলি। এটা খুব অপমানজনক (Sukanta Majumdar)।”
এই অবস্থায় দু’জনকে একসঙ্গে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় (Sukanta Majumdar)। বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাঁদের লালবাজারের সেন্ট্রাল জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পুলিশের গাড়িতে তোলা হওয়ার আগেই সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কেন আমাদের আটক করা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। বিশ্বের কোথাও এমন হয় না যে, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন আর তাঁকে আটকে দেওয়া হচ্ছে!” ঘটনাস্থলে ছিলেন ডিসি সাউথ, সঙ্গে বিশাল পুলিশ বাহিনী। সব মিলিয়ে এলাকাজুড়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
সুকান্ত ও চিকিৎসকের একসঙ্গে আটকের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের আবহ তৈরি হয়েছে। বিরোধী মহলের মতে, এটা গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ, অন্যদিকে প্রশাসন বলছে, নিরাপত্তার দিক মাথায় রেখেই এই পদক্ষেপ।