ইজরায়েলের দক্ষিণের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল ‘সোরোকা মেডিকেল সেন্টার’-এ বৃহস্পতিবার সকালে ইরানের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (Missile Attack) সরাসরি আঘাত হানে। এই হামলার পর হাসপাতাল চত্বরে ঘন ধোঁয়া ও ধ্বংসস্তূপের ছবি ছড়িয়ে পড়ে। হাসপাতালে আতঙ্কের মধ্যে লোকজন দৌড়ে পালাতে থাকেন, করিডোর জুড়ে ধুলো ও ভাঙা জিনিসপত্র ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা বাইরে এসে দাঁড়ান, কেউ কেউ রুগীদের (Missile Attack) নিয়ে আশ্রয় খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন।
বিয়ারশেভা শহরের এই সোরোকা হাসপাতাল দক্ষিণ ইজরায়েলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল সেন্টার। এখানে প্রায় ১,০০০-র বেশি বেড আছে এবং এটি আশেপাশের প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের জন্য চিকিৎসার ভরসা। তবে বৃহস্পতিবারের এই আকস্মিক হামলায় (Missile Attack) হাসপাতালের বিভিন্ন অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “হাসপাতালে ও আশেপাশে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। কতজন আহত হয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করছি, হাসপাতালে না আসতে।”
এই ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় (Missile Attack) শুধু সোরোকা হাসপাতাল নয়, তেল আভিভের একটি রেসিডেন্সিয়াল হাই-রাইজ বিল্ডিং ও মধ্য ইজরায়েলের আরও কয়েকটি জায়গায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তেল আভিভের একটি হাসপাতাল জানিয়েছে, তারা এখন পর্যন্ত ১৬ জন আহত ব্যক্তিকে পেয়েছে, যাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।

এই ঘটনার পর ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেন, “এই সকালে ইরানের জঙ্গি শাসকেরা সোরোকা হাসপাতাল এবং কেন্দ্রীয় ইজরায়েলের সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। তেহরানের শাসকদের এর পূর্ণ মূল্য দিতে হবে।”
ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রকের তরফে পরিচালিত সরকারি অ্যাকাউন্ট থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “ইরানি শাসকরা দক্ষিণ ইজরায়েলের সোরোকা হাসপাতালকে ইচ্ছাকৃতভাবে নিশানা করেছে। এটি একটি বড় চিকিৎসা কেন্দ্র। আমরা বসে থাকব না। আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করতে যা করার, তা করব।”
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জেরুজালেম, তেল আভিভ-সহ বিভিন্ন শহরে সাইরেন বাজতে শুরু করে। আকাশে একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এদিকে, ইজরায়েল গত সাত দিন ধরেই ইরানের বিভিন্ন পারমাণবিক কেন্দ্র, বিশেষ করে নাটানজ ও ইসফাহানের মতো স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আসছে।
এই পরিস্থিতিতে পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা চরমে, এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।