সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার (Influencer) কীর্তি পটেলকে শেষমেশ গ্রেপ্তার করল সুরাট পুলিশ। প্রায় এক বছর ধরে পলাতক থাকার পর বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদের সারখেজ এলাকা থেকে স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে তাকে আটক করা হয়।
কীর্তি পটেল, যিনি টিকটকের (Influencer) মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন এবং ইনস্টাগ্রামে (Influencer) তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ১০ লক্ষেরও বেশি, তাঁর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের জুন মাসে সুরাটের কাপোদারা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগ ছিল, তিনি এবং তাঁর ছয় সহযোগী এক স্থানীয় বিল্ডারকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করেন এবং তার থেকে কোটি কোটি টাকা তোলাবাজির চেষ্টা করেন।
পুলিশ জানায়, বিল্ডার টাকা দিতে অস্বীকার করায় কীর্তি (Influencer) ও তাঁর দল সামাজিক মাধ্যমে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ ও কুৎসা রটিয়ে তাঁর সম্মানহানি করেন।
ডিসিপি অলোক কুমার জানান, কীর্তি পটেল (Influencer) দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক ছিলেন। বারবার মোবাইল বন্ধ করে লোকেশন বদলাচ্ছিলেন তিনি। সুরাট আদালত তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর পুলিশ নজরদারি চালিয়ে তাঁর অবস্থান শনাক্ত করে।

গ্রেপ্তারের পরেও কীর্তিকে (Influencer) পুলিশের জেরা করার সময় মুখে হাসি ও নির্লিপ্ত ভাবেই দেখা যায়। তাঁর মধ্যে কোনোরকম ভয় বা অনুশোচনার ছাপ দেখা যায়নি। ডিসিপি জানান, “২০২৪ সালের জুনে হানি-ট্র্যাপিংয়ের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলায় পাঁচ অভিযুক্তের মধ্যে চারজন আগে গ্রেপ্তার হয়েছে। কীর্তি পটেল ১০ মাস ধরে পলাতক ছিল। সে এক বিল্ডারের কাছ থেকে ২ কোটি টাকা দাবি করেছিল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করেছি।”
তথ্য অনুযায়ী, কীর্তি পটেল ও তার সঙ্গীরা আগে থেকেই একটি পরিকল্পনা করে ওই বিল্ডারকে ব্ল্যাকমেল করেন। বিল্ডারকে ফাঁসিয়ে মোটা টাকা আদায় করাই ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য।
এই মামলার বাইরে আরও কিছু গুরুতর অভিযোগ জমা পড়েছে কীর্তির বিরুদ্ধে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগও এসেছে। এ বিষয়েও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে এবং পুলিশ জানিয়েছে, আরও তথ্য সামনে আসতে পারে।