মাত্র সাত বছর বয়সী ছোট্ট নাস্তিয়া বরিক ইউক্রেনের ওডেসা শহর থেকে ইসরায়েলে এসেছিল লিউকেমিয়া বা রক্ত ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য। তার পরিবারের একটাই আশা ছিল—বাঁচিয়ে তোলা যায় এই ছোট্ট মেয়েটিকে। কিন্তু ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসে, নাস্তিয়া ও তার পরিবারের চার সদস্য একসাথে প্রাণ হারাল ইরানের এক মিসাইল হামলায় (Missile Attack)।
ইসরায়েলের বাত ইয়াম শহরের একটি আবাসিক ভবনে এই হামলাটি (Missile Attack) হয়, যেখানে নাস্তিয়া তার মা মারিয়া পিয়েশকুরোভা (৩০), নানি লেনা (৬০), এবং দুই কাকাতো ভাই ইলিয়া (১৩) ও কনস্টান্টিন (৯) সহ বসবাস করছিল। এই পাঁচজনই ইরানের হামলায় নিহত হন।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ এক গভীর আবেগপূর্ণ বিবৃতিতে এই হৃদয়বিদারক মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “ওরা এখানে এসেছিল বাঁচতে, কিন্তু নিহত হলো ইরানি সন্ত্রাসী মিসাইল হামলায় (Missile Attack)। একজন অসুস্থ মেয়ে, তার মা, ভাই, দিদা—সবাইকে একসাথে মেরে ফেলা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ওরা ছিল শরণার্থী, সাধারণ নিরীহ মানুষ। আশার শেষ আলোটুকু ধরে রেখেছিল। কিন্তু সেই আলো নিভিয়ে দিল ইরানের আয়াতোলাদের বর্বরতা (Missile Attack)।”

নাস্তিয়ার মা মারিয়া ইনস্টাগ্রামে নিয়মিত মেয়ের চিকিৎসার আপডেট দিতেন। ২০২২ সালের আগস্টে নাস্তিয়ার ক্যানসার ধরা পড়ে। সে দু’বার রিল্যাপ্স করে, সবশেষ এপ্রিল ২০২৫-এ। মারিয়ার সর্বশেষ পোস্ট ছিল ২৭ মে, যেখানে তিনি লিখেছিলেন: “আমি আমার মেয়েকে বাঁচাবই, যেভাবেই হোক। কারণ নাস্তিয়া আমার জীবন। যতদিন আমি বেঁচে আছি, আমি চিৎকার করব, ভিক্ষা করব, বিশ্বাস রাখব, লড়ব।”
নাস্তিয়ার বাবা আরতেম বরিক একজন ইউক্রেনীয় সেনা, যিনি বর্তমানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ করছেন। এই ভয়ঙ্কর ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট হারজগ আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে আহ্বান জানান যেন তারা ইরানের এই ‘অপরাধ’ এর বিরুদ্ধে মুখ খোলে এবং ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ায়।