আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বুধবার আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করেন এবং তাঁকে “অসাধারণ মানুষ” বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, আগের রাতেই মোদীর সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। তবে সেই সঙ্গে ট্রাম্প দাবি করেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতির পেছনে তাঁরই ভূমিকা রয়েছে। যদিও ভারত সরকার আগেই জানিয়েছিল, এই যুদ্ধবিরতি হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে, কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই (Donald Trump)।
ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প (Donald Trump) বলেন, “আমি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছি। আমি পাকিস্তানকে ভালোবাসি। মোদী একজন দারুণ নেতা। আমি গতকাল রাতে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা মোদীর সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তির দিকেও এগিয়ে যাচ্ছি।”
তিনি (Donald Trump) আরও বলেন, “পাকিস্তানের সেনাপ্রধান মুনিরও যুদ্ধ থামানোর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আর মোদী ভারতের পক্ষ থেকে যুদ্ধ এড়াতে দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছেন। ওরা দু’জন এবং আরও কিছু ব্যক্তি একসঙ্গে যুদ্ধ ঠেকিয়েছে।”
ট্রাম্প দুই দেশের পরমাণু শক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, “তারা একে অপরের বিরুদ্ধে যাচ্ছিল, এবং উভয়েই পরমাণু শক্তিধর দেশ। আমি এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে একটিও রিপোর্ট দেখিনি। অথচ আমি দুই পরমাণু দেশের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছি!”

এই মন্তব্যের পরপরই ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রী এক প্রেস বিবৃতিতে জানান, মোদী ও ট্রাম্পের (Donald Trump) মধ্যে প্রায় ৩৫ মিনিটের ফোনালাপে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে এই যুদ্ধবিরতির জন্য কোনো মার্কিন মধ্যস্থতা হয়নি। বরং, এই আলোচনা হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান চ্যানেলের মাধ্যমেই, পাকিস্তানের অনুরোধে।
মিশ্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত অতীতে কখনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা গ্রহণ করেনি, আর ভবিষ্যতেও করবে না। এই যুদ্ধবিরতির সময়, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি বা মার্কিন মধ্যস্থতা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।”
উল্লেখযোগ্য, ১০ই মে ট্রাম্প এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেছিলেন, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের ‘সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক’ যুদ্ধবিরতি হয়েছে এবং সেটা নাকি তাঁর দীর্ঘ রাতের আলোচনার ফল। এখন সেই দাবি প্রকাশ্যে অস্বীকার করেছে ভারত।