ভারতে স্যাটেলাইট (Starlink) ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার লক্ষ্যে বড়সড় অগ্রগতি করল এলন মাস্কের সংস্থা স্টারলিংক। কয়েকদিন আগেই ভারতের টেলিকম বিভাগ থেকে লাইসেন্স পেয়েছে স্টারলিংক (Starlink) । এবার সেই খবরে নিজেই প্রতিক্রিয়া দিলেন এলন মাস্ক। তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট ও সিওও গুইন শটওয়েলের বৈঠকের পোস্ট নিজের অ্যাকাউন্টে শেয়ার করে প্রশংসা করলেন।
এই বৈঠকটি হয় ১৭ জুন, মঙ্গলবার। বৈঠকে দুই দেশের পক্ষ থেকেই আলোচনা হয়েছে ভারতের ডিজিটাল ভবিষ্যৎ এবং স্টারলিংকের (Starlink) সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে। সিন্ধিয়া নিজেই এক্স-এ লিখেছেন, “স্পেসএক্স-এর প্রেসিডেন্ট গুইন শটওয়েলের সঙ্গে এক ফলপ্রসূ বৈঠক করলাম। ভারতে কানেক্টিভিটির নতুন দিগন্ত নিয়ে, ডিজিটাল ইন্ডিয়াকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হল।” তিনি আরও বলেন, “স্যাটেলাইট প্রযুক্তি কেবল প্রাসঙ্গিক নয়, বরং এই প্রযুক্তি দেশকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।”
গুইন শটওয়েলও ভারতে স্টারলিংকের (Starlink) লাইসেন্স প্রাপ্তিকে একটি “দারুণ সূচনা” বলে প্রশংসা করেছেন।
স্টারলিংক (Starlink) এখন ভারতে তৃতীয় স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা, যারা সরকারিভাবে অনুমোদন পেয়েছে। এর আগে ইউটেলস্যাট ওয়ানওয়েব ও জিও স্যাটেলাইট কমিউনিকেশনস লাইসেন্স পেয়েছিল। অ্যামাজনের কুইপার নামক সংস্থা এখনও অপেক্ষায় আছে অনুমোদনের জন্য।
স্টারলিংক হল এলন মাস্কের স্পেসএক্স সংস্থার তৈরি এক বিশেষ ধরনের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সার্ভিস, যা পৃথিবীর কক্ষপথের খুব কাছের—মাত্র ৫৫০ কিমি ওপরের—লো আর্থ অরবিট (LEO) থেকে ইন্টারনেট সিগন্যাল পাঠায়। যেখানে সাধারণ স্যাটেলাইট পরিষেবা বহু দূরের জিওস্টেশনারি স্যাটেলাইটে নির্ভরশীল, স্টারলিংক তার হাজার হাজার ছোট উপগ্রহের (বর্তমানে প্রায় ৭০০০, ভবিষ্যতে ৪০,০০০-এর বেশি) মাধ্যমে একটি জালের মতো কাভারেজ তৈরি করে।
এই ব্যবস্থায় দ্রুত, কম দেরিতে পৌঁছানো (low-latency) ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পাওয়া যাবে যা অনলাইন স্ট্রিমিং, ভিডিও কল, গেমিংয়ের মতো ভারী কাজও অনায়াসে চালাতে পারবে। ভারতে স্টারলিংক-এর এই পদক্ষেপ ডিজিটাল বিপ্লবকে আরও বেগ দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।