বিশ্বের অন্যতম ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি ইলন মাস্ক (Elon Musk) এবার সরাসরি রাজনীতির ময়দানে নামলেন। ঘোষণা করলেন একটি নতুন রাজনৈতিক দলের— যার নাম ‘আমেরিকা পার্টি’। তাঁর দাবি, আমেরিকাবাসী এখন আর পুরনো দুই দল— রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটের উপরে আস্থা রাখতে পারছেন না। মানুষ চাইছেন প্রকৃত পরিবর্তন। সেই পরিবর্তন আনতেই আসরে মাস্কের (Elon Musk) ‘আমেরিকা পার্টি’।
এই ঘোষণা শুধু চমকপ্রদই নয়, তা মার্কিন রাজনীতির গতিপথ পাল্টে দিতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা (Elon Musk) । মাস্ক জানিয়েছেন, তাঁর দল “স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার” লক্ষ্যে কাজ করবে। তাঁর মতে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেই স্বাধীনতা হুমকির মুখে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, মাস্ক (Elon Musk) এও জানান যে তিনি আগের মতো আর ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থক নন। মার্কিন বাজেট ঘাটতির লাগামছাড়া বৃদ্ধি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন— রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাট দুই দলই দেশের আর্থিক কাঠামোকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।
এই ঘোষণার আগে মাস্ক নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ (প্রাক্তন টুইটার) একটি ভোটাভুটি চালান। সেখানে ১২ মিলিয়ন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ৬৫ শতাংশই জানিয়েছেন যে তাঁরা একটি নতুন রাজনৈতিক দল চান। এই বিপুল জনসমর্থনের ভিত্তিতেই মাস্ক ঘোষণা করেছেন যে তাঁর দল প্রাথমিকভাবে কয়েকটি সেনেট ও হাউস আসনে লড়াই করবে।
এই পদক্ষেপের ফলে ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচন থেকে শুরু করে ভবিষ্যতের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সমীকরণে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মাস্কের মতো একজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা যখন সরাসরি রাজনীতির মঞ্চে প্রবেশ করেন, তখন তা শুধু একটা দলের জন্ম নয়— বরং একটি নতুন রাজনৈতিক যুগের শুরু বলেই মনে করা হচ্ছে।