সিকিমে (Sikkim) পড়েছে গত ৪৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গরম। এই ভয়ানক তাপদাহের হাত থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে পশ্চিম সিকিমের (Sikkim) সোম্বারিয়ার রাম্মাম নদীতে স্নান করতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ হয়ে যান। নদীর জলের স্রোত এতটাই তীব্র ছিল যে তিনি ভেসে যান এবং এখনও পর্যন্ত তাঁর খোঁজ মেলেনি।
এই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাহাড়ি খরস্রোতা নদীতে প্রবল স্রোতের সময় স্নান নিষিদ্ধ (Sikkim) । ইতিমধ্যেই নদীতে তল্লাশি চলছে, তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত যুবকের দেহ উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
এদিকে শুধু সোম্বারিয়া নয়, প্রচণ্ড গরমে রাজ্যের অন্যান্য জায়গার নদীগুলোতেও সকাল থেকেই মানুষ স্নানে নেমে পড়ছেন (Sikkim) । শিলিগুড়ির মহানন্দা ক্যানেল, আলিপুরদুয়ারের কালজানি, কোচবিহারের তোর্সা সহ একাধিক নদীতে ভিড় বাড়ছে। তবে পাহাড়ি নদীগুলোতে স্নান অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, বিশেষ করে যখন জলস্রোত অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়।
আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, গ্যাংটকে (Sikkim) তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে, যা ১৯৭৯ সালের ২৮.৪ ডিগ্রির রেকর্ডের কাছাকাছি। দার্জিলিংয়ে তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি, শিলিগুড়িতে ৩৬, জলপাইগুড়িতে ৩৮, এবং রায়গঞ্জে পারদ পৌঁছেছে ৩৯ ডিগ্রিতে।
মৌসুমি বায়ুর দুর্বলতার জন্যই এই অতিরিক্ত গরম তৈরি হয়েছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে সুখবর হল, শুক্রবার থেকে মৌসুমি বায়ু ফের সক্রিয় হতে পারে এবং সিকিম ও উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দপ্তরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা (Sikkim) জানিয়েছেন, “শুক্রবার থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে। তার ফলে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।” তাঁর কথায়, আগামী কয়েকদিন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার—এই পাঁচ জেলায় বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
বিশেষ করে শনিবার ও রবিবার জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। এরপর সোমবার ও মঙ্গলবারও এই দুই জেলার পাশাপাশি কোচবিহারেও চলবে বৃষ্টি।