শুক্রবার সকালেই আহমেদাবাদে পৌঁছেছেন উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার দুপুরে গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের (Ahmedabad Plane Crash) উদ্দেশে রওনা হওয়ার মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ বিমানটি। বিমানটি মেঘানিনগর এলাকার এক মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল-ভবনে ভেঙে পড়ে এবং মুহূর্তেই আগুন ধরে যায়। ভয়ানক এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৬৫ জন।
গুজরাট পুলিশের ডেপুটি কমিশনার কানন দেশাই জানিয়েছেন, বিমানটিতে (Ahmedabad Plane Crash) মোট ২৩২ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাত জন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডার নাগরিক ছিলেন। এ ছাড়াও হোস্টেল ভবনে থাকা আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পেয়েই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Ahmedabad Plane Crash)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল এবং কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু। তাঁরা দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি আহমেদাবাদের আসারওয়া সিভিল হাসপাতালে আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন।

সাংবাদিক বৈঠকে অমিত শাহ জানান, বিমানটিতে (Ahmedabad Plane Crash) ছিল ১.২৫ লক্ষ লিটার জ্বালানি এবং অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে দুর্ঘটনার পর মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, ফলে কাউকে বাঁচানোর সুযোগই মেলেনি। উদ্ধারকার্য চালিয়ে প্রায় সব মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের শনাক্ত করতে ১০০০-র বেশি ডিএনএ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের নমুনাও সংগ্রহ করা হচ্ছে, এমনকি বিদেশে থাকা পরিবারগুলিকেও জানানো হয়েছে।
শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি এই দুর্ঘটনা থেকে জীবিত বেরিয়ে এসেছেন—৩৮ বছর বয়সি ব্রিটিশ নাগরিক রমেশ বিশ্বাসকুমার (Ahmedabad Plane Crash)। অমিত শাহ জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে রমেশের সঙ্গে দেখা করেছেন। বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয় দুর্ঘটনার তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনাকে গত এক দশকের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।