পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি (Khejuri)২ নম্বর ব্লকের দেখালি গ্রামে এক অসহায় মহিলার উপর হামলার ঘটনাকে ঘিরে ছড়াল উত্তেজনা। অভিযোগ, একপাক্ষিকভাবে জমির পাট্টা অন্যের নামে দেওয়া নিয়ে শুরু হয় বিরোধ। চলতি মামলার মধ্যেই মহিলার বাড়িতে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী, চলে ভাঙচুর ও মারধর। ঘটনায় চরম ক্ষোভ এলাকাবাসীর। অভিযুক্তদের গ্রেফতার না হওয়ায় প্রশ্নের মুখে পুলিশ প্রশাসনও (Khejuri)।
জানা গিয়েছে, গঙ্গারানি ভুঁইয়া নামে এক মহিলা প্রায় ১৫ বছর ধরে বসবাস করছিলেন একটি ভেস্টল্যান্ডের (Khejuri) জমিতে। বছর কুড়ি আগে স্বামীর অত্যাচারে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। তখন থেকেই বাবার দেওয়া জমিতে একটি ছোট বাড়ি করে ছেলে-সহ থাকতেন গঙ্গা। গঙ্গার বাবাও দীর্ঘদিন ভাগচাষি হিসেবে এই জমিতে কাজ করতেন ।
সম্প্রতি গঙ্গারানি জানতে পারেন, তিনি যে জমিতে থাকেন, সেই জমির পাট্টা শিবপ্রসাদ দাস নামে এক ব্যক্তির নামে রেকর্ডে উঠে এসেছে (Khejuri)। বিষয়টি জানার পর গঙ্গারানি আদালতের দ্বারস্থ হন এবং মামলাটি এখন বিচারাধীন। অভিযোগ, এরপর থেকেই ওই ব্যক্তি জমি দখলের উদ্দেশ্যে গঙ্গারানিকে হুমকি দিতে শুরু করেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় জুন মাসে। গঙ্গার (Khejuri) অভিযোগ, একদিন ছেলেকে টিউশন পাঠিয়ে ঘরে ফিরেই দেখেন, তাঁর ঘর পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে গলা টিপে মারার চেষ্টা করা হয় এবং শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়। গালিগালাজ তো ছিলই। গঙ্গার দুই ভাই এসে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তিনি খেজুরি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ এই ঘটনায় মামলা রুজু করলেও এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়েছে। বিজেপি নেতা বিশ্বম্ভর ত্রিপাঠী অভিযোগ করেছেন, “টাকা না থাকলে পুলিশের দৃষ্টি পড়ে না। গরিব মহিলার পাশে কেউ নেই বলেই পুলিশ নীরব।” পাল্টা তৃণমূল নেতা শ্যামল মিশ্র জানান, “পুলিশ যথেষ্ট সক্রিয়। আমরা তাদের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।”
এখনও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে অসহায় গঙ্গারানি বলেন, “এই জায়গাতেই আমার বাবা চাষ করত। আমার থাকার ঘরটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমাকে মারধর করেছে। গালিগালাজ করেছে। এত বড় অন্যায়ের বিচার আমি চাই।”