আগুন লাগানোর ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আইএসএফ-এর (ISF) ২৫ জন কর্মী শুক্রবার মুক্তি পেলেন বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে। গত ১৪ এপ্রিল ভাঙরে ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে সোনপুর বাজারে একটি প্রতিবাদ সভা ডাকা হয়েছিল। সভায় থাকার কথা ছিল ভাঙরের বিধায়ক (ISF) নওশাদ সিদ্দিকীর।
কিন্তু সভা শুরুর আগেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বাসন্তী হাইওয়েতে (ISF) । অভিযোগ, কলকাতায় ওয়াকফ আন্দোলনের মিছিলে যাওয়া কর্মীদের পুলিশ আটকে দেয়, সেই নিয়েই শুরু হয় রাস্তায় বিক্ষোভ। পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
পরে বিকেলে সোনপুর বাজারে সভাস্থলে ঢোকার মুখে আইএসএফ কর্মীদের আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। ফের শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পুলিশের অভিযোগ, আইএসএফ কর্মীরা কয়েকজন পুলিশকর্মীকে মারধর করেন, পুলিশের বাইকে আগুন লাগান এবং কিছু গাড়ি ভাঙচুর করেন। এই ঘটনার জেরে সেদিন ২৫ জনকে গ্রেফতার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ।
অবশেষে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শুক্রবার ওই ২৫ জন কর্মী বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে বের হলে, তাঁদের গলায় ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করেন স্বয়ং বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।
তিনি (ISF) বলেন, “শাসক দলের ইচ্ছায় আমাদের কর্মীদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি যে ওরা আগুন লাগিয়েছে। বরং জেলের ভিতরে ওদের মারধরও করা হয়েছে।”