সিকিমের (Sikim) মাঙন জেলার চুবম্বুতে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় তিস্তায় পড়ে যায় পর্যটকবাহী একটি গাড়ি। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১১ জন যাত্রী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১০ জন ছিলেন পর্যটক এবং একজন চালক (Sikim) ।
ঘটনাটি ঘটে ২৯ মে রাতের দিকে, যখন লাচেন (Sikim) থেকে লাচুং যাওয়ার পথে পর্যটকবাহী গাড়িটি প্রায় ১,০০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে তিস্তায় তলিয়ে যায়।
সুত্র অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং দু’জনকে গুরুতর অবস্থায় গ্যাংটকের (Sikim) STNM হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের এখনও খোঁজ মেলেনি।
উদ্ধার অভিযানে একযোগে কাজ করছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ (ITBP), সিকিম পুলিশ এবং নর্থ সিকিম ড্রাইভার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়া জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF)-র দলও অভিযান শুরু করেছে।
সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করে বলেন, “মাঙন জেলার চুবম্বুতে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। গাড়িটি তিস্তায় পড়ে যাওয়ার পরপরই উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, “SP মাঙনের তত্ত্বাবধানে পুলিশ, ITBP, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিম এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।”
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মজহি সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে দুই আহত ওড়িয়া পর্যটকের চিকিৎসা ও উদ্ধার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন।
ওড়িশার উপমুখ্যমন্ত্রী কনক বর্ধন সিং দেও বলেন, “এই দলটি ওড়িশা থেকে সিকিমে বেড়াতে গিয়েছিল। সেই গাড়িটিই খাদে পড়ে যায়। এখন পর্যন্ত দুই জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে। একজন মৃতদেহ ভাসতে দেখা গেছে। গাড়ি বা বাকি দেহগুলো এখনো দৃশ্যমান নয়।”
তিনি বলেন, “NDRF পুরোপুরি অভিযান চালাচ্ছে, আমাদের অপেক্ষা করতে হবে যতক্ষণ না সম্পূর্ণ উদ্ধার প্রক্রিয়া শেষ হয়।”
এই দুর্ঘটনা আবারও পাহাড়ি এলাকায় পর্যটন চলাকালীন গাড়ি চালনার ঝুঁকি ও নিরাপত্তার প্রশ্নকে সামনে এনে দিল। প্রশাসনের তরফ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।