প্রতি বছর মে ও জুন মাসে, এক বাবা দিল্লি থেকে কাশ্মীরের দ্রাসে যান, শুধুমাত্র তাঁর শহিদ ছেলের (Kargil Fight) কাছে দেওয়া এক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে। এই গল্প কোনও সাধারণ সফরের নয়—এটা ভালোবাসা, গর্ব, আর এক অসাধারণ পিতা-পুত্রের সম্পর্কের গল্প।
১৯৯৯ সালের মে থেকে জুলাই—ভারত লড়ছিল কারগিল যুদ্ধে (Kargil Fight) । পাকিস্তান-সমর্থিত জঙ্গিরা ভারতের সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে পাহাড়ের উপর কৌশলগত চূড়াগুলি দখল করেছিল (Kargil Fight) । ভারতীয় সেনারা প্রাণপণ লড়াই করে নিজেদের ভূমি পুনরুদ্ধার করেন। সেই যুদ্ধেই শহিদ হন ২২ বছরের লেফটেন্যান্ট বিজয়ন্ত ঠাকুর—কর্নেল বীরেন্দ্র ঠাকুরের ছেলে (Kargil Fight) ।
লেফটেন্যান্ট বিজয়ন্ত নিজের শেষ চিঠিতে বাবাকে অনুরোধ করেছিলেন, যেন তিনি দ্রাসে যান—যেখানে তিনি ও তাঁর সহযোদ্ধারা বুক চিতিয়ে যুদ্ধ করেছিলেন, প্রাণ দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি বজায় রাখতে কর্নেল ঠাকুর প্রতিবছর ওই পাথরঘেরা উপত্যকায় যান, ছেলের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে।
দ্য টেলিগ্রাফ-এর এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিজয়ন্ত তাঁর চিঠিতে অনাথদের জন্য অনুদানের কথাও লিখেছিলেন। তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাঁর মা-বাবা যেন একটি অনাথ আশ্রমে সাহায্য পাঠান এবং রুকসানা নামের এক ছোট মেয়েকে প্রতি মাসে ৫০ টাকা করে দিয়ে যান—এক দায়িত্ববান সেনার সর্বশেষ ইচ্ছা।
সম্প্রতি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা কর্নেল ঠাকুরের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাঁর হাতের ব্যাগ, চোখেমুখে শান্ত গর্ব, এবং বুকভরা স্মৃতি—সেই ছবি দেখে দেশের মানুষ মুগ্ধ। কেউ লিখেছেন, “মন ছুঁয়ে গেল… একজন বাবার বুকভরা সাহস।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “এই দেশ একসময় সেনাদের মাথায় করে রাখত। এইরকম গল্প সেই গৌরবের স্মারক।”