মেঘালয়ের (Meghalaya) পূর্ব খাসি হিলস জেলার সোহরা (চেরাপুঞ্জি) এলাকায় হানিমুনে এসে নিখোঁজ হয়ে গেলেন মধ্যপ্রদেশের নবদম্পতি রাজা রঘুবংশী ও তাঁর স্ত্রী সোনম। ২৩ মে পরিবারের সঙ্গে শেষবার যোগাযোগের পর থেকেই তাঁদের খোঁজ মিলছে না। পরদিন তাঁদের ভাড়া করা স্কুটারটি সোহারিম গ্রামে একটি পাহাড়ি রাস্তায় ফেলে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়। ফোনও বন্ধ (Meghalaya) ।
মেঘালয়ের (Meghalaya) মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা জানিয়েছেন, বর্ষাকালে অত্যন্ত খাড়া ও বিপজ্জনক পাহাড়ি জঙ্গলে তাঁরা সম্ভবত হাইকিং করতে গিয়েছিলেন। সেই জায়গা এতটাই দুর্গম যে প্রচুর পুলিশ, ড্রোন, প্রযুক্তি, এমনকি গ্রামের মানুষদের নিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
ঘটনাস্থলের কাছে থাকা এক রিসর্ট (Meghalaya), যেটির বিরুদ্ধে আগে অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ উঠেছিল, সেটিও এখন পুলিশের নজরে।
নিখোঁজ রাজার ভাই বিপিন ও সোনমের ভাই গোবিন্দ ইতিমধ্যেই ইন্দোর থেকে এসে পৌঁছেছেন। তাঁরা গুগল ম্যাপ ও দম্পতির ফটো দেখে সম্ভাব্য পথ চিহ্নিত করছেন। তাঁদের স্কুটার পাওয়া গেছে ওসরা হিল এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, এই স্থান “দৃশ্যত সুন্দর, কিন্তু প্রাণঘাতী”—বড় গিরিখাত, পিচ্ছিল পাহাড় আর ঘন জঙ্গল। মুখ্যমন্ত্রী সাংমা বলছেন, “আমরা সবরকম প্রযুক্তি ও মানবসম্পদ ব্যবহার করছি। ২৪ ঘণ্টা তল্লাশি চলছে। এই পরিস্থিতি অত্যন্ত দুঃখজনক, কিন্তু আমরা হাল ছাড়ছি না।”
এপ্রিল মাসেও একই জেলায় এক হাঙ্গেরিয়ান পর্যটক নিখোঁজ হয়ে পরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যান। এই ঘটনার পর থেকেই সরকার পর্যটকদের জঙ্গলে একা না যাওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছে। সাংমা আরও বলেন, “আমাদের কাছে পর্যটক মানে পরিবারের সদস্যের মতো। পুরো এলাকা মিলে এই দম্পতিকে খুঁজে বের করতে একসাথে লড়ছে।”