ভারতের Operation Sindoor অভিযান শেষ হওয়ার পর তুরস্ক ও আজারবাইজানে ভারতীয় পর্যটক সংখ্যা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে (Tourism Impact)। চলতি বছরের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে আজারবাইজানে ভারতীয় পর্যটক কমেছে ৭০%, আর তুরস্কে কমেছে ৩৮%।
Operation Sindoor চালানো হয়েছিল মে মাসে পাকিস্তান-প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসীদের পাহালগামে ২৬ জন সাধারণ মানুষ হত্যার জবাবে। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই পর্যটক ছিলেন এবং তাদের ধর্মকে লক্ষ্য করে হত্যা করা হয়েছিল। এর জবাবে ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান-আক্রান্ত কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে আকাশ হামলা চালায়। এর ফলে বহু সন্ত্রাসী নেতা নিহত হন (Tourism Impact)।
পাকিস্তান সেনা সন্ত্রাসীদের পক্ষে হস্তক্ষেপ করলে সংক্ষিপ্ত সামরিক সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পাকিস্তান ড্রোন ব্যবহার করে ভারতীয় শহর ও সামরিক স্থাপনায় আঘাত করে (Tourism Impact), তবে ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশিরভাগ প্রকল্প নষ্ট করতে সক্ষম হয়। সংঘর্ষের পরে সীমান্তে শান্তি স্থাপন হয়, পাকিস্তান বড় ধরনের সামরিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়।
এই সময়ে তুরস্ক (Tourism Impact) পাকিস্তানকে ড্রোন সরবরাহ করে, আর আজারবাইজানও পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নেয়। দুই দেশের এই অবস্থান ভারতীয় পর্যটকদের মধ্যে আক্রোশ সৃষ্টি করে। অনেক ভারতীয় পর্যটক এই দুই দেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকেন।
ভারতের প্রধান অনলাইন ট্রাভেল পোর্টাল MakeMyTrip ও EaseMyTrip reportedly তুরস্ক এবং আজারবাইজানের ভ্রমণ বিকল্প কমিয়ে দিয়েছে (Tourism Impact)। সরকারিভাবে কোনও ভ্রমণ সতর্কতা না জারি হলেও, জনসাধারণের আহ্বান এবং সফরবিমুখতার কারণে স্পষ্ট সংকেত গেছে যে, ভারতীয় পর্যটকরা সন্ত্রাস আশ্রয়দাতা দেশকে সমর্থন করবে না।
পরিসংখ্যান দেখায়, আজারবাইজানে জুন থেকে আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত ভারতীয় পর্যটক মাত্র ২০,৬৩১ জন, যেখানে ২০২৪ সালের একই সময়ে ৬৯,৫৭৬ জন ছিল। জুনে ৯,৯৩৪ জন, জুলাইতে ৪,৬৬৫ জন এবং আগস্টে ৬,০৩২ জন ভ্রমণ করেছেন। অর্থাৎ, তিন মাসের মধ্যে প্রায় ৪৯,০০০ কমেছে।
তুরস্কেও একই ধারা দেখা গেছে। ২০২৪ সালের জুন-আগস্টে ভারতীয় পর্যটক সংখ্যা ছিল ৯৩,৯৬৩, যা ২০২৫ সালে কমে ৫৮,৫৪৪-এ নেমে এসেছে। এই হঠাৎ কমে যাওয়া ভ্রমণ সংখ্যা Operation Sindoor-এর পরবর্তী কূটনৈতিক উত্তেজনার ফলাফল।
ভারতীয় পর্যটকরা স্পষ্ট বার্তা পাঠাচ্ছে যে, সন্ত্রাস আশ্রয়দাতা দেশগুলিকে সমর্থন করে ভ্রমণ করার মধ্যে তাদের অংশ নেই।
