বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বজবজে আক্রান্ত এক বিজেপি কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেই তাঁকে ঘিরে শুরু হয় তীব্র বিক্ষোভ। অভিযোগ, তাঁকে লক্ষ্য করে গালিগালাজ ছুড়ে দেওয়া হয়, এমনকি জলের বোতল এবং চপ্পলও ছোড়া হয়। প্রশাসনকে আগেই জানানো সত্ত্বেও কীভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি (Sukanta Majumdar) ।
ঘটনার পর সুকান্ত (Sukanta Majumdar) রাজভবনে যান এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গেই যদি এমনটা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? রাজ্য প্রশাসনের উপর ভরসা রাখা যাচ্ছে না। তিনি (Sukanta Majumdar) আরও জানান, এই বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও লোকসভা স্পিকারকেও জানাবেন।
ঘটনা বুধবারের। বজবজ ১ বিডিও অফিসের সামনে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্তদের মধ্যেই একজন ছিলেন জয়দেব দত্ত। তাঁকে দেখতে বৃহস্পতিবার সুকান্ত যান হালদারপাড়ায়। সেখানেই শুরু হয় হট্টগোল। বিক্ষোভকারীরা ‘চোর চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন, গালিগালাজ করেন। সুকান্ত যখন জয়দেবের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই তাঁর দিকে জলের বোতল এবং চপ্পল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ।
সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, তৃণমূল দাবি করছে, ১০০ দিনের কাজ না পাওয়ার জন্য নাকি সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর বক্তব্য, “তৃণমূল যদি দেখাতে পারে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ১০ শতাংশও প্রকৃত ১০০ দিনের কাজের শ্রমিক, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।”
এই বিক্ষোভে তাঁর মাকেও কুরুচিকর ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সুকান্ত। রাজ্যপালও ঘটনাটি শুনে অবাক হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। রাজ্যপাল নাকি তাঁকে বলেছেন, এমন অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সবাইকে একত্রে লড়তে হবে। তিনি রাজ্য সরকারকে বিষয়টি জানাবেন এবং প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকারকেও রিপোর্ট পাঠাবেন বলে আশ্বাস দেন।
সুকান্ত স্পষ্ট জানিয়েছেন, এ নিয়ে তিনি লোকসভায় বিষয়টি তুলবেন এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হবেন। তাঁর মতে, এটি শুধু তাঁর নয়, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।