ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর হত্যাকাণ্ডের (Meghalaya Murder) তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল শিলং পুলিশ। রাজা রঘুবংশীর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী এবং তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার বিরুদ্ধে খুনের (Meghalaya Murder) ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যদি প্রথম হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয়, সেই সম্ভাবনা মাথায় রেখে রাজ কুশওয়া আরও একটি দেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগাজিন ও গুলি কিনে রেখেছিলেন। এসব অস্ত্রশস্ত্র সম্প্রতি এক অভিযুক্তের গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত মেঘালয়ে, যেখানে রাজা ও সোনম নবদম্পতির ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। পুলিশ দাবি করেছে, সোনমই প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে মিলে তিনজন ভাড়াটে খুনিকে পাঠান রাজাকে হত্যা (Meghalaya Murder) করতে। পরবর্তীতে রাজার পচাগলা দেহ উদ্ধার (Meghalaya Murder)হয়। ঘটনার পর সোনম উত্তরপ্রদেশে, বারাণসী-গাজিপুর মেন রোডের ধারে এক ধাবা থেকে গ্রেফতার হন।

তদন্তে আরও উঠে এসেছে যে রাজ কুশওয়াহার ল্যাপটপ ব্যাগে ছিল দেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন, গুলি ও ৫০,০০০ টাকা (Meghalaya Murder)। সেই ব্যাগ থেকে ল্যাপটপ সরিয়ে ফেলা হয়েছে এবং ব্যাগটিও পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে ধারণা পুলিশের। ইন্দোরের অবকাঠামো ব্যবসায়ী লোকেন্দ্র তোমার এবং এক প্রপার্টি ডিলার সিলোম জেমসের নামও উঠে এসেছে তদন্তে। পুলিশ জানিয়েছে, সোনম তাঁদের ইন্দোরের ফ্ল্যাটেই প্রেমিক রাজ এবং খুনিদের সঙ্গে অবস্থান করেছিলেন গ্রেফতার হওয়ার আগে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাতে জানা গেছে, লোকেন্দ্র ও সিলোমকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সিলোম স্বীকার করেন, রাজের কাছ থেকে ব্যাগটি নিয়ে টাকাগুলো রেখে দেন এবং ব্যাগটি ইন্দোরের ওল্ড পালাসিয়া এলাকার একটি নালায় ফেলে দেন। এরপর শিলং পুলিশ ও ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি দল সেই জায়গায় গিয়ে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালিয়ে একটি সাদা প্যাকেট থেকে উদ্ধার করে দেশি পিস্তল ও গুলি (Meghalaya Murder)।
তবে এখনও স্পষ্ট নয়, ব্যাগটি নালায় ছোড়ার পর এত নিখুঁতভাবে সেটা কীভাবে খুঁজে পাওয়া গেল। পাশাপাশি পুলিশ লোকেন্দ্র ও সিলোমের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছে, ফ্ল্যাটে থাকা জিনিস এবং সেগুলোর গোপন করার বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথোপকথন হয়েছে। যদিও লোকেন্দ্র দাবি করেছেন, তিনি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত নন।