Shopping cart

TnewsTnews
  • Home
  • জেলা
  • “চিপস কুড়িয়ে নিয়েছিলাম”—মৃত্যুর আগে শেষ বার্তা… অবশেষে পুলিশি পদক্ষেপ
জেলা

“চিপস কুড়িয়ে নিয়েছিলাম”—মৃত্যুর আগে শেষ বার্তা… অবশেষে পুলিশি পদক্ষেপ

Civic volunteer arrested from Panskura
Email :10

পাঁশকুড়ায় (Panskura) চিপস নিয়ে অপমানিত হয়ে আত্মহত্যা করা কৃষ্ণেন্দু দাস মামলায় অবশেষে ২১ দিন পর গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতকে। গতকাল রাতেই তাঁর মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পাঁশকুড়ার (Panskura) জিয়াদা এলাকা থেকে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। সোমবার ধৃতকে তমলুক আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

তবে এই গ্রেফতারি নিয়ে জেলা পুলিশের কোনও আধিকারিক মুখ খোলেননি।

ঘটনার সূত্রপাত ১৮ মে। সেদিন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র কৃষ্ণেন্দু দাস শুভঙ্কর দীক্ষিতের দোকানে (Panskura) চিপস কিনতে গিয়েছিল। দোকানের সামনে একটি চিপসের প্যাকেট পড়ে ছিল, সেটি কুড়িয়ে নেয় কৃষ্ণেন্দু। অভিযোগ, এই ঘটনায় শুভঙ্কর তাকে চোর বলে অপবাদ দেন এবং দোকানের সামনেই মারধর করেন। কান ধরিয়ে ওঠবস করান। এমনকি, কৃষ্ণেন্দুর বাবা-মাকে ডেকে পাঠানোরও নির্দেশ দেন।

মা সুমিত্রা দাস ছেলেকে নিয়ে দোকানে যান এবং সামান্য শাসন করে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু চোর অপবাদে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে কৃষ্ণেন্দু। এরপর বাড়ি ফিরে কীটনাশক খায় সে। চারদিন পরে, ২২ মে মারা যায় ওই কিশোর।

panskura chips
নাবালকের মর্মান্তিক মৃত্যু

মৃত্যুর পর কৃষ্ণেন্দুর খাতায় একটি লেখা পাওয়া যায়, যেখানে স্পষ্ট করে সে লিখেছিল যে চুরি করেনি—চিপসের প্যাকেটটি সে কুড়িয়ে পেয়েছিল। পরবর্তী সময়ে দোকানের সিসিটিভি (Panskura) ফুটেজেও দেখা যায়, প্যাকেটটি আসলে দোকানের সামনেই পড়ে ছিল।

এই ঘটনার পর ২৫ মে শুভঙ্কর দীক্ষিত এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন কৃষ্ণেন্দুর মা (Panskura) । কিন্তু দীর্ঘদিনেও পুলিশ অভিযুক্তকে ধরতে না পারায় শুরু হয় প্রশ্ন উঠতে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন কৃষ্ণেন্দুর পরিবার।

অবশেষে রবিবার রাতে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্করকে গ্রেফতার করে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related Posts