স্পাইসজেটের এক ফ্লাইট দেরি হওয়ায় খাবারের গুণমান নিয়ে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন কিছু যাত্রী (Viral Video)। সেই ক্ষোভ এতটাই চরমে ওঠে যে পুনে বিমানবন্দরে স্পাইসজেটের গ্রাউন্ড স্টাফকে ঘিরে ধরে তাঁরা। দাবি করা হয়, সেই কর্মচারী যেন যাত্রীদের দেওয়া খাবার নিজে খেয়ে দেখান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় (Viral Video) ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, একদল যাত্রী উত্তেজিতভাবে এক স্পাইসজেট কর্মীর সামনে দাঁড়িয়ে। তাঁরা জোর করে তাঁকে খাবার খাওয়াতে বলেন (Viral Video)। ওই কর্মচারী শান্তভাবে সেই খাবার খান এবং উত্তেজিত যাত্রীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন।

ঘটনার পর, স্পাইসজেট একটি বিবৃতি (Viral Video) দিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। তারা জানায়, “যে খাবার দেওয়া হয়েছিল তা এক স্বীকৃত ভেন্ডর থেকে আনা, যারা শুধু স্পাইসজেট নয়, আরও বহু বিমানসংস্থায় খাবার সরবরাহ করে।” তারা আরও দাবি করে, খাবার ছিল সম্পূর্ণ টাটকা এবং মানসম্মত।
সংস্থাটি যাত্রীদের আচরণকে (Viral Video) “দুঃখজনক ও নিন্দনীয়” বলে উল্লেখ করেছে। বিবৃতিতে স্পাইসজেট জানায়, “আমাদের কর্মীরা দায়িত্বশীলভাবে এবং যথাসাধ্য আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেন। যেভাবে তাঁদের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে, তা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না।” তারা আরও জানায়, আক্রান্ত কর্মী সম্পূর্ণ ভদ্রতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখেই পরিস্থিতি সামাল দেন, যদিও তাঁকে মৌখিক অপমান এবং শারীরিকভাবে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়।
এই ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়াও উল্টো দিকে ঘুরে গেছে। অধিকাংশ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী যাত্রীদের ‘অসভ্য’ এবং ‘অযথা উত্তেজিত’ আচরণের নিন্দা করেছেন।
ইনস্টাগ্রামে একজন লিখেছেন, “শালীনতার একেবারে অভাব।” আরও একজনের প্রশ্ন, “স্টাফদের কেন অপমান করে হয়রানি করছেন?”একজন স্পষ্টই মন্তব্য করেন, “এ কেমন পাগলামো! যাত্রীরা কি এখন একদম সীমা পেরিয়ে গেছেন?”